• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলার শুনানি মুলতবি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মার্চ ১৭, ২০১৭

 সিলেট সুরমা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।  বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশের পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমরা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ এখনো পাইনি। তাই সময়ের জন্য আবেদন করেছি। আদালত এক সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করেছে। এর আগে ৭ মার্চ নাইকো মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ। মামলার আরেক আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বিষয়ে যে রুল শুনানি চলছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত খালেদার মামলার কার্যক্রমও স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদক আবেদন করলে ১২ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আবেদনটি বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।
খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
প্রসঙ্গত ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর ৫ মে খালেদাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ৩টি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার সাতশ ৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। ২০০৮ সালের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে রুলও জারি করা হয়। গতবছর ওই রুলের পূর্ণাঙ্গ শুনানি গ্রহণের জন্য আবেদন করে দুদক। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করলে মামলাটি আবার সচল হয়।