• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

হকারদের বিতাড়ন মানবাধিকারের চরম লংঘন : পুনর্বাসন দাবি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুন ১৫, ২০১৭

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট নগরীতে যুগযুগ ধরে চলে আসা হকার ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।   পবিত্র রজমান মাসে তাদের জুটছে না ইফতার ও সেহরী। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও বয়ঃবৃদ্ধ মা-বাবার চিকিৎসা।   স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তের বেড়াজালে পড়ে তাদের এ করুণ অবস্থা।   বৃহস্পতিবার (১৫জুন) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হকারদের এ চিত্র তুলে ধরেন সিলেট মহানগর সর্বস্তরের হকার্স ঐক্যপরিষদ সভাপতি মো.রকিব আলী ও সদস্যসচিব খোকন ইসলামসহ হকার নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে হকার নেতৃবৃন্দ জানান, সিলেট মহানগরীতে হকাররা দীর্ঘকাল ধরে ভাসমান ব্যবসা করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সেই সুবাদে পরিবার পরিজন সিলেট নগরীতে তাদের ছেলে-মেয়েরা নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করাচ্ছে।    ভাসমান ব্যবসাই হকারদের জীবন-জীবিকার একমাত্র পাথেয়। প্রতিবছর রমজান ও ঈদুল ফিতরই ব্যবসার মূখ্য সময় হওয়ায় ধারকর্জ করে ব্যবসার প্রস্তুতি নিয়েছে। মালপত্র কিনে এনে জমা করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। কিন্তু রমজান আসতেই হঠাৎ করে আদালতের দোহাই দিয়ে সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষ ও মহানগর পুলিশ হকারদের বিতাড়নে মেতে উঠে। সিটি কর্পোরেশন ও মহানগর পুলিশ আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ফুটপাত ও রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার জন্য হকারদের আহ্বান জানায় । পাশপাপাশি অচিরেই তাদের পুনর্বাসন করা হবে বলে আশ্বাস দেয়।    আহ্বান ও আশ্বাসে সাড়া দিয়ে এবং আদলতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক হকাররা গত ১ রমজান নগরীর ফুটপাত ও রাস্তা থেকে দোকান-পসরা সরিয়ে নেয়।
হকার নেতৃবৃন্ধের অভিযোগ, কায়েমী স্বার্থান্বেষীরা তদের বাধ্যগত কোন আইনজিিব দিয়ে হকার উচ্ছেদ মামলা সাজিয়ে ব্যবসায়িক ও আর্থিক একক স্বার্থ হাসিলে মত্ত রয়েছে।     তাই হকারারা সিলেটে সিটি কর্পেরেশনের মেয়র ,সিলেটের জেলা প্রশাসক ও মহানগর পুলিশের কর্তাব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করে মামলার নেপথ্যের রহস্য তুরে ধরেন। মেয়র,জেলা প্রশাসক ও এসএমপির কোতোয়ালী ওসি হকারদের পুনর্বাসনে একসপ্তাহের সময় চান। কিন্তু দীর্ঘ ২০দিন াতিবাহিত হয়ে গেলেও অজ্ঞাতকারণে হকারদেও পুনর্বাসন করা হচ্ছে না । এমনকি আনন্দঘণ ঈদুল ফিতরও সমুপস্থিত।   আর একারনে হকারদেও মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে কিনে আনা অবিকৃত মালের ভর্তৃুকিও দিতে হচ্ছে। বিনা লাভে পরিশোধ করতে হচ্ছে চড়া হারে সুদ। নেতৃবৃন্দ জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে হাজার হাজার হকার পরিবার না খেয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে। থমকে যাকে জীবন,বন্ধ হয়ে যাবে অনেকের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও জীবনগঠন।    হকারদের এ শবমিছিল দেখে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়বে পক্ষান্তরে কায়েমী স্বার্থবাদীরা। আর এটা হবে মানবাধিকারের চরম লংঘন।     সংবাদ সম্মেলনে মানবিক দিক বিবেচনা করে সাময়িকভাবে হলেও ঈদ উপলক্ষে নগরীর রাস্তা ও ফুটপাতে হকারদের ব্যবসার সুযোগ দেয়ার দাবি জানানো হয়। এবং রমজপান পরে হকারেদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জোর দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হকার্স ঐক্যপরিষদ-এর যুগ্ম আহ্বায়ক শফিক আহমদ,আতিয়ার রহমান,মো. আব্দুল আহাদ, আব্দুর রহিম, মো. মতিন,হাবিবুর রহমান,বশির আহমদ,শাহজাহান,হাসিম, রুহুল আমিন রুবেল,ইশতিয়াক জাহান খোকন,ইয়াসিন,মখলিছ,রফিক,পিয়ার,শাহজাহান সাজু, রাহিম আহমদ, তিতাব আলী,রুমন, ফকির, কিবরিয়া,ইউসুফ, কাবল, খোরশেদ,তাজনূর, নজরুল,খলিল, সুমন ও রফিক আহমদ প্রমূখ।