• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা : সিলেট পরিবহন শ্রমিক নির্বাচন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট :: তুমল আলোচনায় ভরে যাচ্ছে সিলেট জেলা সড়ক পরিহন শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন। রটনা প্রচারনা বাদ নেই কিছুই। স্বাধীন মন্তব্য চলছে ভিন্ন ভিন্নভাবে। নির্বাচনের পূর্বেকার সকল ধারনাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন যেন নিয়ে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যে যেভোবে পারছে তুলে ধরছে তার নিজস্ব মতামত। খুঁটি খুঁটিয়ে দেখছে প্রার্থীদের আমলনামা। কে, কি করেছিলেন, করছেন সবই রয়েছে সচেতন শ্রমিকদের হিসাবে।

তারা প্রার্থীদের মার্কাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছেন। ইন্টারনেট থেকে ঘেটে ঘেটে তুলে ধরছেন প্রতীকের সুন্দর অবয়ব। তারপর তা ছেড়ে প্রার্থীর পক্ষে নিজের সমর্থন তুলে ধরছেন। যেকারনে বিগত নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন নিয়ে কৌতুহলী আপামর সচেতন মানুষ। সীমাবদ্ধ পরিসরে এ নির্বাচন শুধু শ্রমিকদের মধ্যে হলেও এবারকার চিত্র একেবারে ভিন্ন। তাই পেশাজীবি মানুষের নজর এ নির্বাচন ঘিরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বধৌলতে হরহামেশা পেয়ে যাচ্ছেন নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রার্থী ও সমর্থকদের সকল তৎপরতা।

শলা-পরামর্শের খবর ঘরের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে কেউ বাইর থেকে প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা করলেও তার খবর গোপন থাকছে না। যদিও শ্রমিকের জন্য শ্রমিকের স্বার্থে এ নির্বাচন তদুপুরি স্বার্থান্বেষী কিছূ ব্যক্তির অপতৎপরতা বাজারে রটে গেছে সোস্যাল মাধ্যমে। এ কারেন ভেতরে ভেতরে নাখোশ সচতেন শ্রমিক। তারা মনে করছে, শ্রমিকের নির্বাচনে স্বার্থন্বের্ষী ব্যক্তিদের যেকোন অন্যায় কর্ম প্রতিহত করতে তারা ঐক্যবদ্ধ। বিপদ আপদে স্বাধীনভাবে শ্রমিকের পক্ষে যে নেতা কাজ করবেন তাকে তারা নির্বাচিত করবেন। সভাপতি পদে আম-আনারস মার্কা প্রতীকেই ভোট হবে।

বিগত সময় শ্রমিক ব্যবহার করে অনেক নেতা নিজের ধান্ধ্যা করেছেন, এবার এমন নেতাকে তারা প্রত্যাখ্যাত করবে। তারা চায় পরিবর্তন। এ পরিবর্তন স্বাধীনভাবে বেচে থাকার, মূল্যায়ন পাওয়ার, নিজের অধিকার আদায়ের। যার মধ্যে দিয়ে শ্রমিকের সামগ্রিক ভাগ্যে পরিবর্তন হবে। তাই সিলেট সড়ক পরিবহনের সকল মজদুর এখন এক হয়ে নতুন নেতার মাধ্যমে পরিবর্তনের প্রত্যাশি। কারন তারা স্বার্থান্বেষী কোন মালিকের অনুগত নেতা চায় না। যে শুধু মনে করে ‘নিস কিন্তু দিস না।’ শ্রমিকের জন্য শ্রমিক নেতাই এবার বিজয়ী হবেন এমন প্রত্যাশা স্যোসাল মাধ্যমে তুলে ধরছেন শ্রমিক ভোটাররা।