• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

উইমেন্সের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, মামলা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৯, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার
অভিযোগা পিছু ছাড়ছে না সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের। নানা অনিয়ম আর ভুল চিকিৎসার একের পর এক অভিযোগের কালিমা যোগ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির নামের সাথে। সাংবাদিক পুত্রের অঙ্গহানির পর এবার ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে উইমেন্সের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, পরিচালক, ডাক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন সিলেট নগরীর লোহারপাড়া এলাকার বাসিন্দা শেখ মোহাম্মদ আলমগীরের স্ত্রী ইয়াসমীন আক্তার শাবানা (৩৩)। মামলা নম্বর সি আর ১০১৩/১৬। হাসপাতালের ভুল চিকিৎসার কারণেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন শাবানা।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ওয়ালি তছর উদ্দিন (৫২), ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন (৫০), পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মো. তোজাম্মেল (৫০), মেডিসিন বহির্বিভাগের ডা. শাহীন (৩৩), ডা. ইমদাদুল হক চৌধুরী (৩৩), ডা. ইশরাক তাসমিন ঈশা (২৫), ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. শান্ত, শম্পা রাণী দাস (৩০)।
মামলার অভিযোগে শাবানা উল্লেখ করেছেন, ‘২০১৬ সালে ২৫ এপ্রিল দুপুরে তার স্বামীকে উইমেন্স মেডিকেলের ইমার্জেন্সী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে কোন ডাক্তার না পাওয়ায় মেডিসিন বিভাগের ডা. শাহীনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডা. শাহীন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি দেন। ভর্তির পর দুপুরে ডা. ইমদাদুল হক, ইসরাত ঈশা রোগীকে দেখে বিভিন্ন পরীক্ষা দেন। রাত ৯ টার দিকে রিপোর্ট আসে। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে আমাদের কাছে পৌঁছানো হয় রিপোর্ট। রিপোর্ট দেখে ডিউটিরত ডাক্তার ডা. ইমদাদ ও ডা. ঈশার কাছে গেলে তারা বলেন রোগীর মাথার একটি রগ শুকিয়ে গেছে। ঔষধ দিলে ভালো হয়ে যাবে।
শাবানা জানান, এসময় তারা রিপোর্টটির বিষয়বস্তু প্রফেসর ডা. শহিদুল ইসলাম হকের সাথে আলাপ করার অনুরোধ করলেও ডাক্তাররা শোনেননি। তারা প্রয়োজন নেই বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
পরদিন ডা. শহীদুল ইসলাম এসে দায়িত্বরত ডাক্তারদের বলেন, এ রোগীকে এখানে কে ভর্তি করেছে? এর চিকিৎসা তো এখানে নেই। ‘নিউরো মেডিসিন’ বিভাগের চিকিৎসা প্রয়োজন রোগীর। পরে অভিযুক্তদের ছাড়পত্রে ২৬ এপ্রিল রোগীকে সিলেট ওসমানীতে নেওয়া হলে তারা বলেন অনেক দেরি হয়ে গেছে। রোগীকে বাঁচানো যাবে কি না সন্দিহান হয়ে পড়েন ওসমানীর চিকিৎসকরা। পরে ওইদিন দুপুরে পৌণে ২ টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শেখ মোহাম্মদ আলমগীর।
মামলার অভিযোগে ইয়াসমীন আক্তার শাবানা দাবি করেছেন, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চরম গাফিলতির কারণে আর ডাক্তারদের ভূল চিকিৎসার কারণেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।