• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পারাবত ট্রেনে চাহিদার তুলনায় কুলাউড়ার আসন সীমিত

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৯, ২০১৬

শাকির আহমদ, কুলাউড়া :::: ঢাকা-সিলেট রেল রুটের আন্তঃনগর পারাবত এক্্রপ্রেস ট্রেন আগামী ২ সেপ্টেম্বর ১৬টি নতুন বগি (কোচ) নিয়ে নতুন রূপে যাত্রা শুরু করবে। নতুন বগি সংযোজিত এই ট্রেনে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের জন্য প্রথম, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ারসহ মোট ৬৮টি আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ি, কুলাউড়া উপজেলার লক্ষাধীক মানুষের চাহিদার তুলনায় যা অপ্রতুল। এ স্টেশন দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে দ্বিতীয় কিস্তিতে আমদানীকৃত বগি থেকে ১৬টি বগি নিয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা-সিলেট রেলপথে যাতায়াত করবে আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস। এরমধ্যে দুটি বগি প্রথম শ্রেনি, দুটি বগি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, খাবার গাড়ী একটি, পাওয়ার কার একটি ও বাকি সবগুলো বগি শোভন চেয়ার থাকবে। এ ট্রেনে প্রথম শ্রেনি, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ারসহ মোট আসন থাকবে ৭১৯টি। এর মধ্যে কুলাউড়া থেকে প্রথম শ্রেনি ৩টি, এসি চেয়ার ৫টি ও শোভন চেয়ার ৬০ টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পারাবত এক্সপ্রেস চালুকালীন ¯িœগ্ধা (এসি) কেবিন, ¯িœগ্ধা (এসি) চেয়ার, শোভন চেয়ার ও শোভন সিট মিলিয়ে আসন সংখ্যা ছিলো ৮৭টি। পরবর্তীতে বগি সংকট দেখিয়ে আসন সংখ্যা কমিয়ে ৩৬টি করা হয়। নতুন পারাবত ট্রেনে সবকটি বগি নতুন সংযোজন করার খবরে এ স্টেশন দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু নতুন এ ট্রেনে চাহিদার তুলনায় মাত্র ৬৮টি আসন বরাদ্দ দেওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রয়া তৈরী হয়েছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, একই মানের পার্শ্¦বর্তী শ্রীমঙ্গল স্টেশনকে পর্যটন এলাকার অজুহাত দেখিয়ে এই স্টেশনে শতাধিক আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, ফুলবাগিচা ও ঝেরঝেরী ঝর্ণা, বিভিন্ন চা বাগান, বাপেক্স গ্যাসক্ষেত্র সহ অসংখ্য দর্শণীয় স্থান দেখতে পর্যটকরা কুলাউড়া স্টেশনের মাধ্যমে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিদিন বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া এই তিনটি উপজেলার প্রায় দু সহ¯্রাধিক যাত্রী ট্রেনযোগে চলাচল করেন। কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে সু-দৃষ্টি প্রয়োজন।
যাত্রীরা আরও বলেন, কুলাউড়া থেকে ঢাকা কিংবা সিলেটের সড়কপথে যোগযোগ ব্যবস্থা সময় সাপেক্ষ হওয়ায় এই অঞ্চলের যাত্রীরা ট্রেনে যাতায়াতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। একই মানের অন্য স্টেশন থেকে এই স্টেশনের আসন সংখ্যা কম বরাদ্দ কোনভাবেই কাম্য নয়।
কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হরিপদ সরকার জানান, কুলাউড়ায় ৬৮টি আসনের মধ্যে ৫টি এসি চেয়ার ও ৩টি প্রথম শ্রেণি’র আসন রয়েছে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকদের জন্য শ্রীমঙ্গলে এসি চেয়ার ৩০ টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ এ আসনগুলো আবার পুর্নবিন্যাস করবে। তখন হয়ত আরও কয়েকটি আসন কুলাউড়ার জন্য বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
সিলেট আখাউড়া রেল সেকশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কমার্শিয়াল (টিআইসি) নুরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সকল স্টেশনে যে আসন দেওয়া হয়েছে পরবর্তীতে তা আবার পুর্নবিন্যাস করা হবে।