• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শশুরবাড়ী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২২, ২০১৬

জৈন্তাপুর সংবাদদাতা
জৈন্তাপুরে শশুর বাড়ী হতে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে যুবকের মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল। নিহত সাজু মিয়া(৩৫) রংপুর জেলার, পিরেজপুর থানার কাঞ্জনগাড়ী গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।সাজুর মা ও স্ত্রী সহ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- বিয়ের পর হতে সাজু যথা নিয়মে শশুর বাড়ী জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের হাজারী সেনগ্রামে আসা যাওয়া করে। এরই মধ্যে সাজুর ১মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে।
আসা যাওয়ার সুবাধে সাজু মিয়া তার আপন শ্যালক নাজিম উদ্দিন বছই এর স্ত্রী সারমিন বেগম এর সাথে গভীর প্রেমে পড়ে যান। গেল অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে শ্যালকের স্ত্রী সারিমিন (২১) কে নিয়ে নিরুদ্দেশ হন সাজু। নভেম্বর মাসের ১০-১২ তারিখের মধ্যে শ্যালকের স্ত্রী সারমিন বেগম স্বামীর বাড়ীতে ফিরে আসে। এবার শ্যালকের স্ত্রী সারমিনকে নিজের করে পেতে সাজু তার মা সেলিনা বেগম (৪৫), স্ত্রী সাফিয়া বেগম ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে শশুর বাড়ীতে আসে। তার এই অন্যায় আবদার শশুর বাড়ীর লোকজন মেনে নিতে পারেননি। তারা সাজু মিয়া, তার মা সেলিনা বেগম, তার স্ত্রী সাফিয়া বেগম এবং ২ সন্তানকে গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় গাড়ী যোগে রংপুরের উদ্দেশ্যে বিদায় জানান শশুর বাড়ীর লোকজন।
কিন্তু এসময় সাজু তার স্ত্রী সাফিয়া বেগম ও মা সেলিনা বেগমকে জানায় শ্যালকের বউ সারমিনকে না পেল সে আত্মহত্যা করবে। যাত্রাশুরুর পর পথিমধ্যে সাজু উপজেলার হারিপুর বাজারে সন্ধ্যা ৮ ঘটিকায় গাড়ী দাঁড় করিয়ে নেমে পড়ে নিরুদ্দেশ হয়।
কিন্তু বাজারে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে হরিপুরের বাজারে সাজুকে না পেয়ে স্ত্রী সন্তান ও সাজুর মা হাজারী সেনগ্রামে ফিরে আসেন। শশুর বাড়ীতে এসে সাজুর সন্ধান না পেয়ে তারা থেকে যান। এদিকে ভোর হলে বাড়ীর লোকজন দেখতে পান বসত ঘরের বারান্ধায় লিণ্টারের সাথে সাজুর লাশ ঝুলে রয়েছে। এলাকাবাসী সহ বাড়ীর লোকজনের ধারনা গভীর রাতের কোন এক সময়ে সাজু লিণ্টারের সাথে দড়ী দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এস.আই আব্দুল মান্নান, এএসআই প্রভাকর ও পুলিশ কনেষ্টবল ফিরোজ সহ ফৌস নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এর পর ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত সাজুর মা সেলিনা বেগম বলেন, আমার ছেলের হাতে সারিমিনকে তুলে দেওয়া হত তাহলে সে মরত না। এবিষয়ে স্ত্রী ২ সন্তানের জননী সাফিয়া বেগম বলেন সারমিনকে না পেলে সে আত্মহত্যা করবে বলেছে বিষয়টি আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু অবশেষে সে তার কথা টিক রাখল।