• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গোলাপগঞ্জে প্রকাশ্যে চলছে সরকারি টিলাকাটা

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭

আব্দুল খালিক
গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের কালাকোনা গ্রামে প্রকাশ্যে চলছে সরকারি খতিয়ানে থাকা টিলা কেটে বাড়ি নির্মাণ। গত এক সপ্তাহ থেকে বাঘা কালাকোনা ‘উত্তর টিলা’ কেটে বাড়ি বানাচ্ছেন ঐ গ্রামের মৃত হাছন মেম্বারের ছেলে আব্দুল কুদ্দছ, ফারুক মিয়া ও তাদের ভাইয়েরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে কালাকোনা গ্রামের রবেন্দ্র’র বাড়ির পূর্বে রয়েছে বাংলাদেশ গেজেটের ক-তালিকার ১০ নং ক্রমিকের ৫৩ ভিপির সরকারি খতিয়ানের ৯০১ নং দাগের এক একর সাত ডেসিমেল টিলা রকম ভূমি। ঐ টিলা নিজেদের দাবি করে কালাকোনা গ্রামের মৃত হাছন মেম্বারের ছেলে আব্দুল কুদ্দছ, ফারুক মিয়া ও তাদের ভাইয়েরা। তা নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেও হেরে যায় আব্দুল কুদ্দুছ গংরা। তাছাড়া, টিলাটি কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা না করে গত এক সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন প্রকাশ্য দিবালোকে টিলার মাটি কেটে বাড়ি বানানোর জন্য তৈরী করা হচ্ছে সমতল ভূমি। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবগত করেও কোনো রকম প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
কালাকোনা গ্রামের অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুছ জানান, তিনি তাঁর নিজের জায়গায় সামন্য মাটি কেটে বাড়ি তৈরী করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এটা কোন টিলা নয় সমতল ভূমি।
কালাকোনা গ্রামের আব্দুল মজিদ, লিংকন দেব ও রণদীর দেব জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে উত্তর টিলা কেটে বাড়ি বানানোর জন্য জায়গা প্রস্তুত করছে আব্দুল কুদ্দুছ, ফারুক ও তার ভাইয়েরা মিলে। এলাকার পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। কিন্তু সরকারিভাবে টিলাকাটায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার কোনো তোয়াক্কা না করে টিলা কাটায় আমারা হতভম্ব।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন জানান, টিলাকাটা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু কালাকোনায় অবৈধভাবে টিলাকাটা হচ্ছে তা আমাদের জানা নেই। যেহেতু, এখন জেনেছি, অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি এ্যাকশনে যাবো।
গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম ফজলুল হক শিবলী জানান, টিলাকাটার বিষয়টি আমার জানানেই। তবে আমি পুলিশ পাঠিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।