• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সুনামগঞ্জে জেলা ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে জুম’আর নামাজে ১০ লাখ মুসল্লীর ঢল

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের আব্দুজ জহুর সেতু সংলগ্ন বৈঠাখালী ক্ষিত্তায় ৩ দিন ব্যাপী জেলা ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শুক্রবারে জুম’আর নামাজে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লির ঢল নামে। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লীর সমাগম ঘটেছে। শুক্রবার প্রবিত্র জুম’আর নামাজে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লীর সমাগম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুসলিীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইজতেমা মাঠে নিয়োজিত রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাবের টহলদল। কাকড়াইল মসজিদের ইমামের বয়ানের মধ্যে দিয়ে সুনামগঞ্জের আব্দুজ জহুর সেতুর পাশে বৈঠাখালী ক্ষিত্তায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে জেলা ইজতেমা। বৈঠাখারী ক্ষিত্তাকে ১৫ থেকে ৩০ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ভাগগুলোতে রয়েছে অসংখ্য খুঁটি। প্রতি খুঁটিতে লাইনের ভিতরে অবস্থান করবে ৫০০ মুসল্লী। মাঠের ভিতরে চলাচলের ৫টি রাস্তা রয়েছে। কার্যক্রম ও দায়িত্ব অনুসারে থাকছে অসংখ্য জামাত। দেশি-বিদেশী মেহমানদের মধ্য থেকে কোরআন ও হাদিসের আমল, আখলাক, পরকালের সুখ শান্তি ও সওয়াবের ধারাবাহিক বয়ান শুনতে বিদেশী জামায়াতের ২৭ জন মেহমান ইজতেমায় অবস্থান করছেন। জামায়াতগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, ভারত, আরব আমিরাত, মিশর, ইসরাইল, মরোক্কো, কুয়েত ও ফ্রান্স। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ নেত্রকোনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো মুসল্লীর সমাঘম ঘটেছে। কোরআন ও হাদিসের আমল ও সওয়াবের ধারাবাহিক বয়ান শুনতে ও পুণ্য লাভের আশায় ইজতেমায় জড়ো হয়েছেন বৃহত্তর সিলেট বিভাগের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লীরা।
এব্যপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. হারুণ অর রশিদ চৌধুরী জানান, ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা জন্য পাঁচশতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, সাদা পোষেকের গোয়েন্দা পুলিশ ৩০টি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সন্দেহজনকদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যপারে র‌্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার মো. আফজাল হোসেন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইজতেমা মাঠে র‌্যাবের টহলদল রয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্নভাবে ইজতেমা সম্পন্ন হবে আশা করছি জানালেন র‌্যাব-৯,সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার। ইজতেমায় আসা অতিথিদের হেদায়তী বয়ান শুনে আল্লাহর নৈকট্য লাভে আরো উৎসাহিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা মুসল্লীদের। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, প্রায় ৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছে সুনামগঞ্জের এই ইজতেমা ময়দানে। পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারী রাখা হয়েছে। সেই সাথে সিসি ক্যামেরায় সর্বক্ষন মনিটরিং করা হচ্ছে।