• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বোমা বিস্ফোরণ : ২ পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৪, জঙ্গিদের কাছে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ মজুদ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মার্চ ২৬, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন চলার এক পর্যায়ে পরিচালক মিলিটারি ইনটেলিজেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল হাসান সাংবাদিকদের ব্রিফ করার পর পরই সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের গোটাটিকর মাদ্রাসার সামনে পৃথক বোমা বিস্ফোরণে ২ পুলিশ সদস্যসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরো অন্তত অর্ধশতাধিক।  শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে একইস্থানে কিছুক্ষণ পর পর এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন- সিটিএসপি’র ইন্সপেক্টর মনির ও ইন্সপেক্টর আবু কয়ছর, স্থানীয় ঝালোপাড়ার বাসিন্দা ছাত্রলীগ কর্মী অহিদুল ইসলাম অপু এবং দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম।
আহতরা হচ্ছেন- সেনাবানির কর্ণেল পদমর্যদার এক কর্মকর্তা,র‌্যাব সদস্য আব্দুর রহমান, দক্ষিণ সুরমার ওসি হারুনুর রশিদ, পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান, যুগান্তরের সাংবাদিক আজাদ, দৈনিক, মানচিত্র পত্রিকার ফটোসাংবাদিক আজমল আলী, পথচারী শিমুল কর, নূরুল ইসলাম, শিরিন আহমদ, মাহমুদ আলী, রহমান, আব্দুল লতিফ, নাজিম উদ্দিন, মস্তাক, হোসেন আহমদ, আল সাফি ও গাড়ী চালক মামুন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে এবং অন্যান্য আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, আহতদের দেখতে ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলের ৩শ’ গজের ভেতরে সাধারণ লোকজনকে না ঢুকতে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দেন। বোমা হামলার পর থেকে পুরো দক্ষিণ সুরমা এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। লোকজন ঘরের দরজা আটকিয়ে ভেতরে আতংকের মধ্যে অবস্থান করছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তাদের বাসা-বাড়ি অবস্থান হলেও এখানে এসে গুলি পড়ছে। সেবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জঙ্গিদের কাছে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদের মজুদ রয়েছে। এ কারণে তারা সর্তকতার সঙ্গে এগুচ্ছেন। রাত ১ টার দিকে ঘটনাস্থ থেকে বার বার বিকট শব্দ শুনা গেছে।
স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল ৫ টার পর থেকে কয়েক ঘন্টা গুলিবিনিময় বন্ধ থাকলেও রাত ১২ টার পর জঙ্গিদের সাথে সেনাবাহিনীর থেমে থেমে গুলিবিনিময় হচ্ছিল।
অপরদিকে, শিববাড়ীতে পৃথক বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে গোটা নগরীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে আতংকে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। আবার কেউ কেউ ঘটনা জানতে একে অপরকে জিজ্ঞাসা করেন। বিশেষ করে পরিচিত সাংবাদিক পেলেই উৎসুক মন নিয়ে ঘটনার বিষয় জানতে চান।