• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পৃথক সংঘর্ষে চেয়ারম্যানসহ আহত ৫৫

sylhetsurma.com
প্রকাশিত এপ্রিল ২০, ২০১৭

ছাতক  সংবাদদাতা :  ছাতকের পল্লীতে সংঘর্ষে দক্ষিণ খুরমা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকুল গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, গ্রামের মৃত আনোয়ার আলীর পুত্র মকবুল আলী বুধবার সকালে বাড়ীয়ান ভুমির সীমানায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়ার সময় প্রতিপক্ষ মৃত কলমদর আলীর পুত্র মাহমুদ আলী বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে দেশী অস্ত্র ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষে প্রায় ২৫ ব্যক্তি আহত হয়। উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির (৫০), মোশাহিদ আলী (৪৭), মিজাজ উদ্দিন (৪৫), বশির আলী (৪২), মকবুল হোসেন (৩০), আক্তার হোসেন (৩২), মুহিবুর রহমান (২৮), কবির হোসেন (২৫), আতাউর রহমান (১৮), অলিউর রহমান (২২), আলী হোসেন (২৭), মতিউর রহমান (১৯), আজাদ মিয়া (২০), দেলোয়ার (১৯), সাকিবুল হাসান (৯), আবুল খয়ের (১৮), রিপন (২১)সহ অনান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৫জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। বিষয়টি সালিশে নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট সংলগ্ন ইমা-লেগুনা ষ্ট্যান্ডে স্থানীয় দিঘলী চাকল পাড়া গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বিড়ি (সিগারেট) খাচ্ছিলেন। এ সময় বিড়ির ধোয়ায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে লেগুনা হ্যালপার, বেরাজপুর গ্রামের ফাহিম আহমদ বাধা-নিষেধ প্রদান করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটা-কাটি ও বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে এ দু’জনের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাদের আত্মীয়-স্বজনরা। সংঘর্ষে দেশীও অস্ত্র ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ও পথচারীসহ প্রায় ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তাজ উদ্দিন ও ফাহিম আহমদসহ ৫জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে  পৌঁছে লাঠিচার্জ করে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষের কারণে ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ছাতক সড়কে মালবাহী, যাত্রীবাহীসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী সাধারণ। ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও কাচাবাজারের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। প্রায় ঘন্টা খানেক পর পরিস্থিতি শান্ত হলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। বিষয়টি সালিশে নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেন আ’লীগ নেতা ও গোবিন্দগঞ্জ অনার্স-ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ভিপি আওলাদ আলী রেজাসহ স্থানীয় লোকজন।