• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

জৈন্তাপুরে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ র‌্যাবের হাতে আটক ২

প্রকাশিত জুলাই ২৫, ২০১৭

জৈন্তাপুর সংবাদদাতা :
সিলেটের জৈন্তাপুরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ জব্দ ও ২ নাশকতাকারীকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাবের স্পেশাল কোম্পানি, সিলেট ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জৈন্তাপুর থানায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দরবস্ত ইউপির চতুলবাজার সংলগ্ন লক্ষীপাশা এলাকার আল-মদিনা কমিউনিটি সেন্টারের সামন থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ ও খায়রুল ইসলাম (২২) ও নজরুল ইসলাম (৩৫) নামের ২ নাশকতারীকে আটক করে তারা। আটক খায়রুল ইসলাম সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার বড়বন গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে ও নজরুল ইসলাম একই থানার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত মাহমদ আলীর ছেলে।
র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক ব্যক্তিরা বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছে ১টি নীল রংয়ের পলি ব্যাগ ভর্তি খাকী কাগজের মোড়ানো ৩০ পিস হাই এক্সপ্লোসিভ পাওয়ার জেল, যার ওজন অনুমান ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম এবং সাদা তার সমেত ইলেকট্রিক ডেটোনেটর ৩০ পিস, যার ওজন অনুমান ২৮৩ গ্রাম পাওয়া যায়। সেই সাথে ১টি কালো রংয়ের পুরাতন লাভা মোবাইল ফোন, ১টি কালো রংয়ের পুরাতন এক্স-প্লে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উক্ত বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো এতই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং উচ্চমান সম্পন্ন বিস্ফোরক পদার্থ, যার ১০টি দ্বারা ২/৩ তলা একটি স্থাপনা পুরোপুরি গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।
র‌্যাব আরও জানায়, এই বিস্ফোরকগুলো মূলত সীমান্তবর্তী এলাকার কয়লা খনি সমূহে ব্যবহৃত হয় এবং এই বিস্ফোরক চালান মেঘালয় রাজ্যের লাটুম্বাই কয়লা খনিতে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মাধ্যমে বিভিন্ন হাত হয়ে দুর্গম এলাকার ভিতর দিয়ে আটককৃত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। একই জাতীয় বিস্ফোরক সমূহ পূর্বে আটককৃত জঙ্গীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃক বিস্ফোরকের সাথে হুবহু মিল রয়েছে। যাতে প্রতিয়মান হয় এই বিস্ফোরক দ্রব্য সমূহ জঙ্গী কার্যক্রমে ব্যবহার হত। ধৃত অভিযুক্তদ্বয়ের নিকট হতে তাদের অপরাপর ৩/৪ জন পলাতক সহযোগীদের ব্যাপারে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে তাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টা চলছে বলেও নিশ্চিত করে র‌্যাব।