• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

একজন প্রবাসীর স্বপ্নযাত্রা, লাল সবুজের গর্বে রাঙা বিজয় ব্যাজ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্ট : 
গল্পটি একান্ত লাল-সবুজের। আবেগেরও। একজন প্রবাসী বাঙালি লাল-সবুজের স্বপ্ন ছড়িয়ে চলেছেন বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। টরেন্টো থেকে প্যারিস, নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন বিভিন্ন দেশে বাঙালিদের বুকে লাল সবুজের আবেগ গেঁথে দিয়েছেন তিনি। নাম তার বেলায়েত হোসন চৌধুরী রিপন। বিজয়ের স্মারক ‘বিজয় ব্যাজ’র প্রবর্তন শুরু করেন তিনিই।
গল্পের শুরু ২০০২ সালে কানাডা থেকে। সে বছর প্রথম তিনি কানাডায় প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে আয়োজন করেন বিজয় দিবস উদযাপনের। সিদ্ধান্ত নেন দেশের প্রতি, একাত্তরের শহিদদের প্রতি, সম্মান জানাবেন। কিভাবে সম্মান জানাবেন এই প্রশ্নে অভিনব এক চিন্তা আসে মাথায়। লাল-সবুজের ব্যজ ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নেন রিপন। সে বছর বণ্যাঢ্য আয়োজনে বিজয় দিবস উদযান করেন কানাডায়। প্রাবাসি বাঙালিদের বুকে বুকে গেঁথে দেন লাল সবুজের বিজয় ব্যাজ। প্রবাসী বাঙালিদের নতুন প্রজšে§র অনেকেই জানেন না লাল-সবুজের ইতিহাস। রিপন যে আবেগ প্রবাসীদের বুকে গেঁথে দিয়েছেন এখন সবাই জানেন, যে মাটির সবুজ ঘাস লাল হয়েছিল ৩০ লাখ শহীদের রক্তে- সেই দেশটির পুরো ইতিহাস জুড়ে লাল-সবুজ। জীবনের দামে কেনা এ দেশটির কান্না-হাসির সব অনুভূতিই লাল-সবুজের। উৎসবের প্রতীকও এই লাল-সবুজ।
বেলায়েত হোসেন চৌধুরী রিপন বাস করেন কানাডার টরেন্টো শহরে। আদি বাড়ি সিলেটেই। এক সময় সিলেটের সামাজিক, সাংস্কৃৃতিক ও ক্রীড়ায়ও পরিচিত মুখ ছিলেন । একসময় জীবন বদল করে প্রাবাসে পাড়ি জমান। দেশ ত্যাগ করলেও হƒদয় গহীনে লাল-সবুজের ভূখ­ের মায়া ত্যাগ করতে পারেননি তিনি। দেশের জন্য কিছু করার অদম্য ইচ্ছা চেতনায় লালিত হতো সবসময়। সেই থেকে প্রবাসে বাঙালিদের ৭১’র চেতনায় উদ্দিপ্ত করার কাজ শুরু করেন তিনি। উদ্ভাবন করেন লাল-সবুজের বিজয় ব্যাজ। দেশে দেশে গিয়ে বিজয় উৎসব শুরু করেন। প্রবাসীদের বুকে লাগিয়ে দেন বিজয় ব্যাজটি। ২০০২ থেকে শুরু করে এখনো তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ডিসেম্বর এলেই তিনি আহবান জানান বিজয় ব্যাজ ধারণের। তার এই অভিনব উদ্যোগ সাদরে গ্রহণও করেছেন প্রবাসী বাঙালিরা। বিজয়ের মাস এলেই বিভিন্ন দেশে বুকে বিজয়ের ব্যাজ ধারণ করেন প্রবাসীরা।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রবাসী নতুন প্রজš§ বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেকেই ভালো জানে না। তারা বড় হচ্ছে অতি আধুনিক জীবনে। বাংলাদেশের যে একটা রক্তিম ইতিহাস আছে তা প্রবাসী নতুন প্রজš§কে জানানোর ইচ্ছে থেকেই বিজয় ব্যাজ তৈরির উদ্যোগ নেই। এ উদ্যোগ অনেকটা সফল। এই ব্যাজ প্রবাসী নতুন প্রজš§কে দেশের প্রতি আগ্রহও বাড়াচ্ছে। বাড়ছে দেশপ্রেমও। বিজয় ব্যাজের মত প্রতীকী কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে ভিনদেশি যারা এখনো বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে ’অপরিচিত’ তাদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা ইতিহাস-চেতনা-অর্জনগুলো সহজেই তুলে ধরার অবকাশ রয়েছে। বিজয় ব্যাজ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার একটি সুযোগ। তিনি জানান, কানাডা থেকে শুরু হওয়া এ উদ্যোগ বিশ্বের ২৬ দেশে এখন সমাদৃত।