• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বহিস্কৃত আবু সরকার সংগঠনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছেন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮

 সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলন 
সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে বহিস্কৃত আবু সরকার সংগঠনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. দিলু মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে দিলু মিয়া বলেন, ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে আবু সরকার বিতর্কিত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়ে সংগঠনটির উপরে কালিমা লেপন করে গেছেন। এখনো তিনি সংগঠনের অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান কমিটির দায়িত্বশীলরা সংগঠনের সকল সদস্যদের স্বার্থে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব ৬ শতক ভূমিতে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের মৃত্যুকালীন ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, আর্থিক সহযোগিতা, বৃদ্ধ ভাতা, পঙ্গু ভাতা সহ নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। কিন্তু তাতেও একমাত্র বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আবু সরকার। তিনি সংগঠনকে ধ্বংস করতে ও উন্নয়ন কাজকে বাঁধাগ্রস্ত করতে নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছেন।

দিলু মিয়া বলেন, আবু সরকার সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পর বহিরাগত লোকজন দিয়ে সংগঠনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাফলং, সারিঘাট ও চানখিল নামক স্থানে আবারো বাঁশকল বসানোর জন্য নানা পাঁয়তারা ও ফন্দি করছেন। তিনি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সদস্য পদ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের সাধারণ সভায় আবু সরকার বহিরাগতদের দিয়ে হামলার চেষ্টা ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক উসমান আলীর গাড়ি গতিরোধ করে সম্মানহানির চেষ্টা করেন।

দিলু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে আবু সরকার বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, জায়গা দখল ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, জাফলংয়ে রয়্যালিটি আদায়ের নামে বাঁশকল বসিয়ে প্রতিমাসে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা গ্রহণ করতেন। এক পর্যায়ে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে ক্ষমা প্রার্থী হলে তাকে পুনর্বহাল করা হয়। কিন্তু তারপরও ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। নগরীর ল’কলেজ সংলগ্ন চালিবন্দরে জেলা পরিষদের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে একটি ঘর বানিয়ে সংগঠনের ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেন।

পরে হুমায়ুন চত্বরে অফিস নির্মাণের কথা বলে সরকারি ভূমি প্রতারণামুলক ভাবে ক্রয় করে সংগঠনের ১৭ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করেন। তার দাপট ও হুংকারের কাছে সংগঠনের সবাই ছিলেন জিম্মি। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারতেন না। ২০১৭ সালে নগরীর মেন্দিবাগ-উপশহর পয়েন্ট এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমানের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করেন আবু সরকার। তার এ সকল বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে বাধ্য হয়ে জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন আবু সরকার সহ তার সহযোগীদেরকে আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেন। সংবাদ সম্মেলনে দিলু মিয়া আবু সরকারের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুস সালাম, সহসভাপতি হাসমত আলী হাসু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, যুগ্ম সম্পাদক আরিফ হোসেন হিরা, সহ সম্পাদক আহমদ আলী স্বপন, প্রচার সম্পাদক মানিক মিয়া, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ রাজু আহমদ, সদস্য কানু মিয়া, লায়েছ মিয়া, জলিল মিয়া, আলী আহমদ, শরিফ আহমদ, শ্রমিক নেতা কাউছার আহমদ, মারুফ আহমদ, মাহফুজ আহমদ, কালা মিয়া প্রমুখ।