• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ওসমানীনগরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জেরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা

প্রকাশিত নভেম্বর ১, ২০১৫
ওসমানীনগরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের  জেরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা

স্টাফ রির্পোট:  ওসমানীনগর উপজেলায় ইসলাম ধর্মের অবমাননার জের ধরে একদল মুসল্লী সংখ্যালঘু একটি পরিবারের ব্যবসা ও বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ভূক্তভোগিরা হলেন ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের তেরহাতি গ্রামের বাসিন্দা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অংগ সংগঠন, “ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের” সদস্য সচিব রিপন কান্তি পাল ও তার পরিবার। হামলাকারীরা রিপন কান্তি পালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ীতে আগুন লাগানোর পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট চালায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ওসমানীনগর উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি কবির উদ্দিন আহমদ ও তার মদদপুষ্ট কদ্দুস মিয়া এলাকায় নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করার পাশাপাশি তাদের বসতবাড়ি দখল করে আসছে। এসবের প্রতিবাদ করেন রিপন কান্তি পাল। তার এ প্রতিবাদকে পুজিঁ করে উক্ত কবির উদ্দিন আহমদ ও কদ্দুস মিয়ার ষড়যন্ত্রে মসজিদের ইমাম ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনেন।
বিগত ৩০/১০/২০১৫ ইংরেজি রোজ শুক্রবার বাদ জুম্মা মসজিদের মাইকে এধরনের ধর্ম কটুক্তির অভিযোগ প্রকাশ করা হলে, সাথে সাথে উপস্থিত মুসললিরা ক্ষিপ্ত হন এবং মমসজিদের ঈমামের নেতৃত্বে, রিপন কান্তি পাল উনার স্হানীয় গোয়ালা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ উনার বাড়িতে হামলা করা হয়। এব্যাপারে বাজারের মসজিদের ঈমামের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় লোকজন এবং বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায় যে, রাস্তার নিকটবর্তী রিপন কান্তি পালের পৈতৃক সম্পত্তি, যাহা অনেক মুল্যবান, উক্ত জায়গা নিয়ে অনেক দিন যাবত উপরোল্লিখিত কবির উদ্দিন আহমদ ও কদ্দুস মিয়ার সাথে রিপন কান্তি পরিবারের বিরুধ রয়েছে।
উক্ত ঘটনার দিন মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ ব্যাপারে স্হানীয় ওসমানী নগর থানায় যোগাযোগ করলে , থানার কর্তব্যরত অফিসার জোবায়ের আহমেদ জানান বেলা অনুমানিক দু ঘটিকার সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা তিনি অভিহিত হন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাথে সাথে তিনি পুলিশ ফৌর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন!
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উক্ত ঘটনার ক্ষতিগ্ৰস্থ পরিবার সতেন্দ্র কুমার পাল ও তার ছেলে রিপন কান্তি পাল সহ পরিবারের সকল সদস্য জীবনের নিরাপত্তার জন্য বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান।

উক্ত ঘটনায় স্হানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।