• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দুইদিনে চার মন্দিরে চুরি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
দুইদিনে চার মন্দিরে চুরি

সিলেট সুরমা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত দুইদিনে চারটি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত উপজেলার সাতগাঁও, ভূনবীর ইউনিয়নে এসব চুরির ঘটনা ঘটে বলে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে জানান স্থানীয় বাসিন্দা গোপেশ গোয়ালা।

ঘটনাগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেন ভূনবীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. চেরাগ আলী ও সাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যথাক্রমে মিলন শীল। তারা জানান শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার রাতে কোনও এক সময় উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের লছনা বাজারে অবস্থিত শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের দরজা ও দানবাক্সের তালা ভেঙে নগদ টাকাসহ পিতলের তৈরি গোপালের মূর্তি ও মন্দিরের ভেতরে থাকা পূজার কাজে ব্যবহার্য্য বিভিন্ন তৈজসপত্র চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে গীতাসহ মহাপ্রভুর পরিধানের কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী মন্দিরের টয়লেটের পাশে পাওয়া যায়। মন্দিরটিতে এই নিয়ে তিনবার চুরি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সোমবার রাতে উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নে অবস্থিত মঙ্গলচণ্ডীর মন্দির ও ভৈরব মন্দির এবং পার্শ্ববর্তী সাতগাঁও ইউনিয়নের মাকরিছড়া চা বাগানের লক্ষ্মীরায়ণ মন্দিরের দরজা ও দানবাক্সের তালা ভেঙে নগদ টাকাসহ মন্দিরের ভেতরে থাকা পূজার কাজে ব্যবহার্য বিভিন্ন তৈজসপত্র চুরি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও দুই বছরে আগে মঙ্গলচণ্ডীর মন্দিরে মহাদেবের মূর্তি ভেঙে ফেলে দেয়।

এদিকে দুইদিনে চারটি মন্দিরে চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন,‘বিষয়টি অবহিত হওয়া মাত্রই আমি ওসি’র সঙ্গে কথা বলেছি,যাতে আর এধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে বলেছি। মন্দিরে চুরি’র ঘটনাগুলো তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন,‘পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আমারও কথা হয়েছে। আমি সরেজমিন যাচ্ছি এবং উনাদের নিয়ে বসবো। আশা করছি,অচিরেই একটা ফল পাবেন।’