• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্রী তন্নী হত্যা : প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৭, ২০১৯
নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্রী তন্নী হত্যা : প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

সিলেট সুরমা ডেস্ক : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্রী তন্নী হত্যা মামলার আসামী প্রেমিক রানু রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ জানুয়ারি) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক রেজাউল করিমের আদালত এ রায় প্রদান করেন। এদিন রাস্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন পিপি কিশোর কুমার কর। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামি রানু রায়কে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন বিচারক।

বিভাগীয় স্পেশাল পিপি কিশোর কুমার কর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তন্নী রায় শহরতলীর শেরপুর রোডস্থ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেড় হয়ে আর ফেরেনি। তার নিখোঁজের ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন তন্নী রায়ের বাবা বিমল রায়। সাধারণ ডায়েরী করার ৩ দিনের মাথায় কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়ের বস্তাবন্দী লাশ নবীগঞ্জ শহরতলীর একটি নদী থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।

তন্নীর লাশ উদ্ধার এবং মামলা দায়েরের পরেও নবীগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক মামলার অগ্রগতি না হলে মামলাটি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে প্রেরণ করা হয়। হত্যার ২০ দিনের মাথায় ৭ অক্টোবর’১৬ ডিবি পুলিশের ওসি মো. আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন ৮ অক্টোবর দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে রানু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে এবং তন্নীকে হত্যার কথা স্বীকার করে।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের এক বছর সাত মাস পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

রায়ের পরে তন্নী র বাবা বিমল রায় জানান, আমার মেয়ে তন্নীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামী মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। এসময় তবে রায় দ্রুত কার্যকর করার জোর দাবি জানান তিনি। যাতে করে তার এমন শাস্তি দেখে দেশে খুন, ধর্ষণ ও নানা অপরাধমূক কর্মকাণ্ড কমে।