• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গোয়াইনঘাটের চাঞ্চল্যকর নির্মল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুলাই ২৩, ২০১৯
গোয়াইনঘাটের চাঞ্চল্যকর নির্মল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেটের গোয়াইনঘাটে চাঞ্চল্যকর নির্মল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছ পুলিশ। এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন কনিকা বিশ্বাস নামের এক নারী। প্রেমঘটিত কারণেই নির্মল বিশ্বাস খুন হন বলে দাবি করেছেন কনিকা।

স্বীকারোক্তিতে কনিকা বলেন, নির্মল বিশ্বাসের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে কার্তিক দাস নামে আরেক ব্যক্তির সাথে কনিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে নির্মল বিশ্বাস বাধা হয়ে দাঁড়ান। এ কারণে নির্মল বিশ্বাসকে হত্যা করা হয়।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রবিন পাত্রকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলার আলামত মোটর সাইকেল গোলাপগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।

আনিছুর রহমান জানান, নির্মল হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে কার্তিক দাস, লিটন বিশ্বাস, সুবল দেব নাথ, কনিকা বিশ্বাসকে আটকের পর ২১ জুলাই তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।

তাদের মধ্যে কনিকা বিশ্বাস হতাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ২১ জুলাই সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতে বিচারক নওরিন করিমের সামনে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

তার দেয়া তথ্য মতে গোয়াইনঘাট সার্কেলের এ.এস.পি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালান।

সোমবার (২২ জুলাই) বিকেলে প্রধান আসামি রবিন পাত্রকে জাফলং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে নিহত নির্মল বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে উদ্ধারে সক্ষম হয় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জাফলং চা বাগানের উত্তর দিকে নকশিয়ারপুঞ্জি আমেরতল এলাকা থেকে নির্মল বিশ্বাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় নিহত নির্মল বিশ্বাসের বাবা নিখিল বিশ্বাস বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২২, তারিখ- ২০জুলাই ২০১৯ইং। মামলা রেকর্ডের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়ে উঠে থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল জলিল বলেন, নির্মল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার তদন্ত করায় মূল অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার সম্ভব হয়। এ ঘটনায় আলামত মোটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।