• ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সংহতি ও শক্তিশালী সাউথ-সাউথ সহযোগিতার আহ্বান হাছান মাহমুদের

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২১, ২০২৪
সংহতি ও শক্তিশালী সাউথ-সাউথ সহযোগিতার আহ্বান হাছান মাহমুদের

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে সংহতি ও ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি উগান্ডার কাম্পালায় গ্রুপ অফ ৭৭ (জি-৭৭) এবং চীনের তৃতীয় সাউথ শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, ঋণ সংকট এবং ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণবাদের কারণে চলমান বৈশ্বিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জি-৭৭ সদস্য রাষ্ট্র এবং চীনকে অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সাউথ-সাউথ সহযোগিতাকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাণী বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এখনও অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি স্বচ্ছ ও অধিকতর ন্যায়সঙ্গত বিশ্বের জন্য পাঁচটি এসডিজি বাস্তবায়নে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর সংস্কার, প্রযুক্তিগত বৈষম্য দূর করা, সর্বত্র লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন জরুরি বিষয়ের ওপড় গুরুত্বারোপ করেন।
গত দেড় দশকে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তববাদী ও উন্নয়ন-সমর্থক নীতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
মাহমুদ ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকার অর্জনে তাদের সংগ্রামকে সমর্থনে বাংলাদেশ পাশে থাকবেও বলে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগের দিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
থার্ড সাউথ সামিটের চেয়ার এবং গ্রুপের নতুন চেয়ার হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি।
অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, চীনের রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রতিনিধি লিউ গুওঝং এবং দ্বিতীয় সাউথ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি।