• ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটে জামিন পেলেন ৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক ::: সিলেটে আসামি ‘ছিনিয়ে নিতে’ পুলিশের উপর ‘হামলা’র ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত মামলায় জামিন পেয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সুজেল আহমদ তালুকদারসহ ৯ জন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে তাদের আইনজীবিরা জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। তবে ওই মামলায় ইমন ও তাহমিদ নামের অন্য দুজন আসামীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। জামিন পাওয়া ৯ জন হলেন, কালিবাড়ী এলাকার (মূল বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচর থানার সয়রাবাড়ি) আবদুল হাকিমের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৪), কালিবাড়ী এলাকার মৃত আবদুস সালামের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৬), একই এলাকার সুফি মিয়ার ছেলে সুজেল আহমদ তালুকদার (৩৩), সজিব আহমদ তালুকদার (২১) ও সৌরভ তালুকদার (১৯), চৌকিদেখী এলাকার সমশের মিয়ার ছেলে সাহেদ আহমদ (২৮), কালিবাড়ী ভাটপাড়া এলাকার মৃত কবির উদ্দিন খানের ছেলে জুবায়ের খান (৩০), চৌকিদেখী এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মাসুদ আহমদ (২৩), মজুমদারী এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে শামসুজ্জামান (২৬) ও কালিবাড়ী সবুজ বাগিচা এলাকার অনিল চন্দ্র পালের ছেলে সুমন পাল (৩২)। তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সিলেটের পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সমিউল আলম, অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ, অ্যাডভোকেট মোশাহিদ আলী, অ্যাডভোকেট শেখ মকলু মিয়া, এডভোকেট সৈয়দ শামিম আহমদ, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী, এডভোকেট শাকি শাহ ফরিদী, এডভোকেট মাহি তালুকদার। উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি রাতে ৪৩ বোতল ফেন্সিডিল প্রাইভেটকারে করে পরিবহনের সময় সংগীতশিল্পী ইমন দাস ও মনিরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের ফোন কল পেয়ে সুজেল আহমদসহ অন্যান্যরা আসামী ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর ‘হামলা’ চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করে ‍পুলিশ। এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী থানায় পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে আটক ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও মাদক পরিবহনকারীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়।