• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নগরী টিলাগড়ে সংঘর্ষ, লুটপাট ও দোকান পুড়ানোর ঘটনায় মামলার রায় প্রকাশ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
নগরী টিলাগড়ে সংঘর্ষ, লুটপাট ও দোকান পুড়ানোর ঘটনায় মামলার রায় প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার: ২০১২ সালে বিএনপি আহুত গত ১১ জানুয়ারি হরতাল চলাকালে নগরীর টিলাগড়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। গতকাল ০২ ফেব্রুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় অভিযুক্ত বিশ জন আসামীর মধ্যে পলাতক আসামী বিয়ানীবাজারের বাহাদুরপুর গ্রামের ইমাম উদ্দিনের পুত্র আবুল হোসেন, ফেঞ্চুগঞ্জের ধারন কুরবারপুর গ্রামের আব্দুস শহীদ চৌধুরীর পুত্র মিজানুর রহমান চৌধুরী, নগরীর শিবগঞ্জের সোনালী-১৮ এর বাসিন্দা আলতাফ হোসেনের পুত্র সালাহ উদ্দিন আহমদ, নগরীর শিবগঞ্জ সাদিপুরের মোঃ ফজলুল করিমের পুত্র রেজাউল করিম, নগরীর রায়নগরের প্রত্যয়ন-৬৭ এর কামরানের পুত্র দিলাল, চৌখিদেখির রংধনু-২৩ এর মৃত ইয়াকুব আলীর পুত্র আছাদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসামী-মাছুদীঘিরপারের প্রবাহ-১০২ এর বশিরের পুত্র মুজিব, পশ্চিম পীরমহল্লার প্রভাতী-৯৪ এর আমরুজের পুত্র সাবিবর, হাউজিং এস্টেটের ৪ নংরোডের ১৭ নং বাসার কালা মিয়ার পুত্র হেলাল, দরগাহমহল্লার ঘুর্নি ৬৩ এর রশিদের পুত্র কবির, মির্জাজাঙ্গালের আজমানের পুত্র রুমেল, রায়নগরের মস্তফা লেঅদীর পুত্র ইমরান লোদী, লামাবাজারের আমারি হোসেনর পুত্র জাকির হোসেন, আম্বরখানার সুয়েব আহমদের পুত্র ফরহাদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বাকী ৬ জন আসামীর পত্যেকেকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়- ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি বিএনপি আহুত হরতাল চলাকালে টিলাগড় এমসি কলেজ গেইটের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে হরতালবিরোধী মিছিল বের করার প্রস্তুতিকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ৭ কর্মী মারাত্মক জখমী হন। তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা কলেজ গেইটের অপরপাশে একটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে এর আগেই মালামালসহ দোকানের বিরাট অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় এমসি কলেজ শাখার তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি অরুন দেব সাগর বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামী করে কোতোয়ালী মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৩, তারিখ ১২/০১/২০১২ ইং। জি আর নং ২০৮/২০১২ ইং। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই মোঃ গোলাাম মোস্তফা ২৭/১২/২০১২ ইং সিলেটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী, স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিজ্ঞ এপিপি এডভোকেট হুমায়ুন কবির বাবুল ও আসামীপক্ষে এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব।