• ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ-ছাত্রলীগের হামলা,বহু হতাহত

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুলাই ৩, ২০১৮
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ-ছাত্রলীগের হামলা,বহু হতাহত

স্টাফ রিপোর্টারঃ কোটা সংস্কারের দাবীতে নগরীর চৌহাট্রা পয়েন্টে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গতকাল হামলা চালিয়েছে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ-ছাত্রলীগের এ যৌথ হামলায় গুরুতর আহত ৪ জন সহ বহু শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল ১১ টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবীতে চৌহাট্রা পয়েন্টে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছিলেন। এসময় নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে আসা ছাত্রলীগের একটি মিছিল শিক্ষার্থীদের সমাবেশে ঢুকে আন্দোলনরতদের উপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেনি। কিছু কিছু পুলিশ সদস্যকে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতা এবং ছাত্রঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের লাটিচার্জ করতে দেখা যায়। এসময় ছাত্রলীগ কর্মীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাত এবং পুলিশের লাটিচার্জে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে তাদের সহপাঠিরা রিকশা এবং সিএনজি যোগে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চৌহাট্রা পয়েন্টে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পুলিশ-ছাত্রলীগ যৌথ হামলা করেছে-এমন খবর সিলেট শহরে ছড়িয়ে পড়লে সোমবার দুপুর থেকেই আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠে কোটা সংস্কারের দাবীতে গড়ে ওঠা আন্দোলন। এ হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারী কলেজে ছাত্রলীগ বিরোধী বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ (মঙ্গলবার) শহীদ মিনারে আরো জোরালো অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছাত্রঅধিকার পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা। এদিকে চৌহাট্রা পয়েন্টে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমাবেশে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় নিজেদের ২৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবী করেছেন ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’ সিলেট জেলা শাখার সেক্রেটারি এমসি কলেজ শিক্ষার্থী তানভীর আলম। তিনি বলেন, ‘চৌহাট্রা পয়েন্টে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী চলছিল। পুলিশী প্রহরায় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হামলা করে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চেয়েছে। তাদের হামলায় ২৫ জন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুহেল আহমদ, বিপ্লব দাশ, আহবাবুল্লাহ ফজলেগীর ও শিল্পী বেগম নামে ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’র ৪ জন কর্মী গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। বর্তমানে নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন আছেন।