• ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিয়ানীবাজারে তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুন ৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ১৪, ২০১৯
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : বিয়ানীবাজারের দাসউরা গ্রামের পশ্চিম পাড়ের সুনু মিয়ার যুবতী মেয়ে সুমি বেগমের লাশ বাড়ীর পাশের এক বিল থেকে ১৩ আগষ্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়,  গত ১২ আগষ্ট রাতে নিখোঁজ হন সুমি বেগম। পরদিন সকালে বাড়ীর পাশের কোনারবাড়ীর বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ পুলিশ বলছে, ধর্ষনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।  এ ঘটনায় ‘রেন্ট এ কার ব্যবসায়ী’ একই গ্রামের মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেনকে ১৩ আগষ্ট রাতে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ নিহত সুমীর পিতা সুনু মিয়ার দায়েরকৃত মামলার তিন নম্বর আসামী এই দেলোয়ার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
এ ব্যাপারে ১৩ আগস্ট রাতেই সুমি বেগমের বাবা সুনু মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  মামলার আসামীরা সবাই বিয়ানীবাজার থানার দাসউরা গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন আব্দুল হকের পুত্র আব্দুল কাইয়ুম, আরিফ মিয়ার পুত্র জব্বার মিয়া,  মোকলেছুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,  সিকন্দর আলীর পুত্র শুয়েব আহমদ, আবুল হোসেইনের পুত্র জমির হোসাইন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের হাতে দুই জন আটকের খবর পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ পর্যন্ত মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল কাইয়ুম ও মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।