• ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ে আ.লীগের সন্ত্রাসী হামলায় এলডিপি সদস্য আশঙ্কাজনক

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুন ১৭, ২০২১
বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ে আ.লীগের সন্ত্রাসী হামলায় এলডিপি সদস্য আশঙ্কাজনক

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি ::
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছে পরিবার।
বুধবার বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম ছালেহ আহমদ। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই এলাকার জালাল নগর গ্রামের সিকন্দর আলীর ছেলে ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র চারখাই বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সদস্য।
জানা গেছে, হামলার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাইব আহমেদ, যুবলীগ নেতা শামসুজ্জামান চৌধুরী রুমন ও ছাত্রলীগ কর্মী শায়হান আহমদ-সহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় আরো কিছু নেতাকর্মী জড়িত রয়েছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা (এলডিপি)’র সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, তার দলের সদস্য ছালেহ আহমদকে মেরে ফেলার জন্য হামলা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এক বছর আগেও তারা এমন ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে ছিল। এবারকার হামলাকারীরাও সেই একই গ্রুপের সন্ত্রাসী। যদিও তারা হ্যালমেট পরিহিত ছিল, কিন্তু তাদের চিনতে কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ, একই স্থানে হামলা অন্য কেউ করবে না। সেই পুরনো সন্ত্রাসীরাই হামলা চালিয়েছে এটা নিশ্চিত।
তিনি বলেন, বিয়ানীবাজারে এলডিপি’র একটি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছালেহ আহমদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। চারখাই বাজার সংলগ্ন স্থানে তার উপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। এসময় এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে পথচারী মো. আজাদ মিয়া এগিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতের পিতা সিকন্দর আলী জানান, ‘আমার ছেলে ছালেহ আহমদের উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা রাজনীতিতে তার জনপ্রিয়তা দেখে ইর্শান্বিত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র সাথে জড়িত। দলের আদর্শের উপর অনুপ্রাণিত হয়ে জননন্দিত নেতা আব্দুল হামিদ চৌধুরীর হাত ধরে দলে প্রবেশ করেছে। এরপর থেকেই সে দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কেন্দ্রীয়সহ স্থানীয় নেতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। সেই সাথে এলাকার সাধারণ মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জন করে তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করে চলছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে। তারা যেকোনো মূল্যে আমার ছেলেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
পথচারী মো. আজাদ বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় ছালেহ আহমদকে রাস্তার পাশে অন্ধকার গলিতে পড়ে থাকতে দেখি। এসময় তার নাক, মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। হাত ও পা-সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম রয়েছে। তাকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলে ধারণা করি। পরে স্থানীয়দের জড়ো করে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাই এবং ভর্তি করি।’
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, হামলার বিষয়টি আমাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে, এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।