ঢাকা ১৮ই জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৬
স্টাফ রিপোর্টার:::: সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে গড়ে উঠা ৭১৫ টি অবৈধ স্থাপনা সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। উচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের প্রেক্ষিতে আজ ৩১ আগস্ট বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত দেবোত্তর সম্পত্তির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সেবায়েতকে স্থাপনাগুলো সরেজমিনে বুঝিয়ে দেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. মাহবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেনসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ। তবে, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজসহ রাগীব আলীর দখলে থাকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিস্টান, ধর্মীয় প্রতিস্টান, হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা ৭৯২৫ নং রিট সংশ্লিষ্ট স্থাপনা, জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হস্তান্তরিত সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে এসব স্থাপনা দখলে রেখেছিলেন ‘কথিত দানবীর’ শিল্পপতি রাগীব আলী। ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন ব্যবসায়ী রাগীব আলী। রাগীব আলী নিজের নামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৩৩৭ টি প্লট তৈরি করে বিক্রি করে দেন। এসব প্লটে গড়ে উঠেছে বহুতল আবাসন ও বিপণী বিতান।
গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। রায় বাস্তবায়ন করতে সিলেটের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৫ মে চা-বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়া ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
এসময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তারাপুর চা বাগানের অবৈধ স্থাপনা গুলোর মধ্যে কিছু স্থাপনা আজ আমরা সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে অফিশিয়ালি বুঝিয়ে দিয়েছে। ইতিপূর্বে অবৈধ স্থাপনার গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণের জন্য প্রশাসনের দেয়া নোটিশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জানান, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদেরকে ইতিপূর্বে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে বলা হয়েছে। যখন উচ্ছেদে যাব তখন সেটা করা হবে।
রায় অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কি কি পেলেন এমন প্রশ্ন করা হলে সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্ত সাংবাদিকদের জানান, ৭১৫ জনের দখলে থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলো প্রশাসন আজ বুঝিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত রাগীব আলী আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের কোন টাকা দেয়নি। রাগীব আলী ইতিমধ্যে পালিয়ে চলে গেছে, আশা করি আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করা হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : ওয়াহিদুর রহমান
সম্পাদক ও প্রকাশক মো. নাজমুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক : আমিনুল ইসলাম রোকন
সহযোগী সম্পাদক : জয় চৌধুরী
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আর কে চৌধুরী
সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০৮২১-৭১১০৬৯,
মোবাইল : (নির্বাহী সম্পাদক-০১৭১৫-৭৫৬৭১০ )
০১৬১১-৪০৫০০১-২(বার্তা),
০১৬১১-৪০৫০০৩(বিজ্ঞাপন), ইমেইল : www.sylhetsurma2011@gmail.com
ওয়েব : www.sylhetsurma.com
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি