• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

স্মরণসভা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২, ২০১৬

প্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক সত্যিকার অর্থেই সব্যসাচী ছিলেন। মহাভারতে অর্জুন যেমন উভয় হাতে যুদ্ধ পরিচালনায় পারদর্শী ছিলেন, ঠিক তেমনি বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিচরণ ছিল সৈয়দ শামসুল হকের। তাই তাঁর নামের সাথে যুক্ত হয়েছিল অভিধাটি। রবিবার সন্ধ্যায় মদনমোহন কলেজ সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত সৈয়দ শামসুল হক স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। কলেজ অধ্যক্ষ ডক্টর আবুল ফতেহ ফাত্তাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি গবেষক প্রফেসর নৃপেন্দ্র লাল দাশ। কলেজ স্টাফ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজ সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির সাবেক কর্মকর্তা জামান মাহবুবুজ্জামান চৌধুরী, কবি গবেষক একে শেরাম, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির পরিচালক (অর্থ) মিহির কান্তি চৌধুরী, বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তাপসী চক্রবর্তী, কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর মোস্তাক আহমদ দীন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কবি পুলিন রায়, দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক অপূর্ব শর্মা, কবি মোহাম্মদ হোসাইন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, নাট্যজন ও তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে যাদু, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় তার বিচরণ বাংলা সাহিত্যকে করেছে ঋদ্ধ। তার লেখনী ছিল দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষকে নিয়ে।
বক্তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে সৈয়দ হকের অনেক মিল রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় উভয়ের বিচরণ থাকলেও কবি হিসেবে তারা ছিলেন অনন্য। সৈয়দ হক শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে ছিলেন খুবই সচেতন। অনুবাদেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। বাংলা সাহিত্য যতদিন থাকবে ততদিন লেখার মাঝে বেঁচে থাকবেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা গান পরিবেশন করেন অরুণ কান্তি তালুকদার ও অর্নিষা দাস অর্না।