• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

দুই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে

প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ২ কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়াও দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী চারদিন (১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর) বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী চার দিন দেশের বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় অবস্থানরত শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী সব শিশুর জন্য বিনামূল্যে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হয় আজ। শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শিশু হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবাকে সব সময় অগ্রাধিকার দেন জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এ সময়ে বলেন, মা-বাবাদেরকেও শিশুর প্রতি যতœ নিতে হবে। জাপানে একজন ব্যক্তির আয়ের ৮০ শতাংশ শিশুর পেছনে ব্যয় করা হয়, শিশুদের জন্য আমাদের ভাবনার কোনো কমতি নেই, তারাই আগামীর ভবিষৎ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক মনজুর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জানা গেছে, কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশে এক লক্ষ বিশ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত শিশুকে নীল ক্যাপসুল ও এক বছর থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত শিশুকে লাল রংয়ের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুদের রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করতে চাই। বর্তমানে ভিটামিন-এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা এক ভাগের নিচে রয়েছে বলেও জানান তিনি।  তিনি বলেন, দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী চারদিন (১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর) বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ’
এদিকে বাসস জেলা সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে বলা হয়, ভোলায় জেলায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৮ শিশুকে, কুড়িগ্রামে ১৯৪৯টি কেন্দ্রে ছয় মাস থেকে এক বছরের ৩৩ হাজার ৬৯০ জন ও এক থেকে পাঁচ বছরের ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭১ শিশুকে, গোপালগঞ্জে ১৬৬১টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৭ জন শিশুকে, রংপুরে প্রায় ৬ লাখ, রাজশাহীতে তিন লাখ ৫৬ হাজার ২১১ জনকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুই হাজার ৪৫১টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে ৫ লাখ ১৭ হাজার ১১০ জনকে, হবিগঞ্জে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ, ভোলা জেলায় দুই লাখের অধিক শিশুকে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।