• ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রিকাবীবাজারে বৃহৎ পানির স্তরের সন্ধান লাভ : উপকৃত হবেন ৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দা

প্রকাশিত জানুয়ারি ১৭, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট মহানগরীর মীরের ময়দান পয়েন্ট সংলগ্ন স্থানে নতুনভাবে আরেকটি প্রোডাকশন টিউবওয়েল (উৎপাদক নলকূপ) চালু করতে যাচ্ছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। ৬৫ লক্ষ  টাকা ব্যয়ে এই প্রোডাকশন টিউবওয়েল নির্মাণকালে রিকাবীবাজার পয়েন্ট সংলগ্ন স্থানের মাটির নিচে মহানগরীর বৃহৎ একটি পানির স্তর পাওয়া গেছে। ২০০ ফুটেরও বেশি এই পানির স্তর পাওয়ার ফলে এই প্রোডাকশন টিউবওয়েলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এতে করে উপকৃত হবেন সিলেট সিটির ১, ২, ৩, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড তথা ৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব রিকাবীবাজারে গিয়ে প্রোডাকশন টিউবওয়েল এর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম আবজাদ হোসেন।
এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, ‘মহানগরবাসীর ক্রমবর্ধনার চাহিদার কথা বিবেচনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নতুনভাবে আরও ৩টি প্রোডাকশন টিউবওয়েল নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। যার মধ্যে মানিকপীর গোরস্থান সংলগ্ন স্থানে একটি এবং রিকাবীবাজার পয়েন্টে দ্বিতীয়টির নির্মাণকাজ চলছে। শেখঘাটে তৃতীয় প্রোডাকশন টিউবওয়েল এর নির্মাণকাজও শুরু হবে শিগগিরই।’
মহানগরবাসীর চাহিদা মেটাতে হলে একাধিক ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে এনামুল হাবীব জানান, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের দিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। এরই লক্ষ্যে কুশিঘাটের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পর আরেকটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সিটি কর্পোারেশনের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে মহানগরবাসীর পানির চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে।’
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর জানিয়েছেন, ‘নতুন তিনটি প্রোডাকশন টিউবওয়েল নির্মাণকাজ শেষ হলে সিটি কর্পোরেশনের প্রোডাকশন টিউবওয়েল এর সংখ্যা ৪২-এ উন্নীত হবে।’ তিনি জানান, ‘সাম্প্রতিকালে যতগুলো প্রোডাকশন টিউবওয়েল নির্মাণ করা হয়েছে তার মধ্যে সর্ববৃহৎ পানির স্তর পাওয়া গেছে রিকাবীবাজারে। বর্তমানে রিকাবীবাজার পয়েন্টের প্রোডাকশন টিউবওয়েলের নির্মাণকাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। অন্যদিকে মানিকপীর গোরস্থান সংলগ্ন স্থানে নির্মাণাধীন প্রোডাকশন টিউবওয়েল চালু করতে এখনও ৫/৬ মাস লাগবে।’ মহানগরীতে প্রায় ৮ কোটি লিটার পানির চাহিদা আছে উল্লেখ করে আলী আকবর জানান, ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়।’