• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রাজন হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শুরু

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩০, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক ::: সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। পেপারবুক পাঠের মধ্য দিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ সোমবার (৩০জানুয়ারি) এ শুনানি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক পেপারবুক পাঠ শুরু করেন।

২০১৫ সালে শিশু রাজনকে চুরির মিথ্যা অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই মামলায় ওই বছর ৮ নভেম্বর সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন কামরুল, বাদল, ময়না মিয়া ও জাকির হোসেন পাভেল। নুর মিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মুহিত, আলী হায়দার ও শামীমের ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এই মামলার অপর আসামি রুহুল আমিন, আছমত ফিরোজ ও আয়াজ আলী খালাস পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের সময় ঘাতকরা নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিওচিত্রে ধারণ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে দেশ-বিদেশে আলোড়নের সৃষ্টি হয়।

রাজন হত্যা মামলার ১৩ আসামির মধ্যে সৌদি আরবে আটক প্রধান আসামি কামরুলসহ ১১ জন কারাবন্দি ও দু’জন পলাতক রয়েছেন।

১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার।

২৪ আগস্ট চার্জশিট আমলে নেন আদালত। ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

হত্যার পর লাশ গুমচেষ্টার অভিযোগে আদালতের বিচারক মুহিদ আলম ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও শামীম আহমদের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগ আনেন।

১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলার মোট সাক্ষী ৩৮ জনের মধ্যে ৩৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় আদালতে। ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করে নগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ।

৭ সেপ্টেম্বর রাজন হত্যা মামলা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়।

নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের পর মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যান। সেখানে গিয়েও তার শেষ রক্ষা হয়নি। প্রবাসীরা তাকে ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসে হন্তান্তর করেন। ইন্টারপোলের মাধ্যমে ১৫ অক্টোবর কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।