• ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

সিলেট সুরমা ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় একটি হিন্দু বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বর্তমান ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া শাহাপাড়া গ্রামের কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তাহের মো. আব্দুল্লাহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেন, ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। দ্রুতই তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।”

কৃষ্ণ ঘোষ জানান, ভোরে কে বা কারা আমাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে ছিল। আগুনে আটটি ঘর, সাতটি ছাগল, ৬০ মণ ধান ও আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তার।

ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. মাইনুদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তাদের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা খসড়া তালিকা করেছেন।

এদিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলাল মাস্টার এ ঘটনার জন্য ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান লিটনকে দায়ী করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লিটন।

আলাউদ্দীন বলেন, লিটনের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন শেখবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে হামলা করে। এখন এই হিন্দু বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ সালের মত অবস্থা তৈরি করার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে লিটন বলেন, ওই ইউনিয়নের হিন্দু ভোটাররাও আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিল। আমি কেন তাদের বাড়িতে আগুন দেব? এ ঘটনায় তিনি বা তার দলের কেউ জড়িত নয় বলেও দাবি করেন লিটন।

বিএনপি-জামায়াতের বিরদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কেউ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কারা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্মমভাবে নির্যাতন করেছিল। এখন আবারও শুরু হয়েছে। তাই এসব অপশক্তিকে শক্তভাবে দমন করতে হবে।