• ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভাগ্য ফিরেছে আমিরুনের পোলট্রি খামার করে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুন ২৮, ২০১৯
ভাগ্য ফিরেছে আমিরুনের পোলট্রি খামার করে

সিলেট সুরমা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুমড়াকাপন গ্রামের আমিরুন বেগমের বিয়ে হয় একই গ্রামের ছায়েদ আহমেদ এর সাথে। তার স্বামী পরিবারের বড় ছেলে সংসারের দায়িত্ব তাকে নিতে হয়। কিন্তু সংসারে অভাব থাকায় কুল কিনারা পায় না। ব্যবসা করবে, কিন্তু পুঁজি নাই।

এমতাবস্থায় আমিরুন বেগম শুনতে পায় কুমড়াকাপন গ্রামে মুসলিম এইড বাংলাদেশ নামে একটি এনজিও সংস্থার কথা। তাই উক্ত গ্রামের সমিতিতে ভর্তি হয়ে প্রথমে ১০ হাজার টাকা লোন নিয়ে ছোট একটি মুদি দোকান শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ীর সাথে কিছু ব্রয়লার মুরগী বাচ্চা ক্রয় করেন।

কয়েক মাস এভাবে মুরগী পালতে থাকেন ও বিক্রি করতে থাকেন, ভাল লাভ করতে থাকেন। তার আশা সে মুরগীর খামার বড় করবেন। তাই এভাবে পর্যায়ক্রমে ১২ বার লোন ও বিনিয়োগ নিয়ে খামারে বড় দুইটি ঘর তৈরি করেন। প্রচুর লাভ হতে থাকে। বিভিন্ন খুচরা দোকানীরা তার নিকট হতে মুরগী ক্রয় করে নিয়ে যায়।

মাসে ৩০- ৩৫ হাজার টাকা আয় হতে থাকে। তার খামারে আয় দিয়ে তার দুই ভাইকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন ও চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ের লেখা পড়ার খরচ চালাচ্ছেন। এই আয় থেকে উপজেলার ভানুগাছ বাজারে একটি বড় দোকান দিয়েছেনও দুইতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ী তৈরির কাজ শুরু করেছেন।

তাদের সংসারে এখন আর তেমন কোন অভাব নেই। তাদের এ অবস্থার জন্য আমিরুন বেগম মুসলিম এইডের অবদান বেশী বলে মনে করেন।
বর্তমান তার চলমান পুঁজি ৭লক্ষ টাকা। তার সফলতা দেখে সর্বশেষ মুসলিম এইড তাকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ নেন ও আরও উন্নতি করতে থাকেন।