• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ড. ইউনূসের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাই কোর্টে স্থগিত

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৪, ২০১৯
ড. ইউনূসের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাই কোর্টে স্থগিত

সিলেট সুরমা ডেস্ক : শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করেছেন হাই কোর্ট।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিচারপতি আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ তার বিরুদ্ধে জারি করা এই পরোয়ানা স্থগিতের নির্দেশ দেন।

এদিন নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।

গত বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক ইসলাম রহমান শ্রমিকদের চাকরীচ্যুত করার অভিযোগে করা তিন মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন

এরআগে ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের সদ্য চাকরীচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী। আদালত ৮ অক্টোবর তাদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। অপর দুই জন হলেন-ড. ইউনূস ছাড়াও একই দিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।

মামলার তিন বাদী হলেন- কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার চড়াইকোল গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের আব্দুস সালাম। ২০০৫ সালের ২৭ জুন গ্রামীণ কমিউনিকেশনসে স্থায়ী পদে জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে যোগদান করেন তিনি। প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশনস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সালাম।

শাহ আলম, নীলফামারী জেলার এলাহি মসজিদপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে। প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশনস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক তিনি। ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ কমিউনিকেশনসে স্থায়ী পদে জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে যোগদান করেন।

এমরানুল হক, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার নারিকেলতলা গ্রামের সফর আলী ছেলে। তিনি প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশনস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য। তিনি ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ গ্রামীণ কমিউনিকেশনসে স্থায়ী পদে জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে যোগদান করেন।

ইউনিয়ন গঠন করায় আসামিদের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বেআইনিভাবে বাদীদের প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরীচ্যুত করেন। এর পরেই তারা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। মুহাম্মদ ইউনূস দেশের বাইরে থাকায় তিনি আদালতে হাজির হননি।