• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আমাদের উপর কঠোর অবস্থান গ্রহন করলে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হবে (ভিডিওসহ)

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ১৭, ২০২০
আমাদের উপর কঠোর অবস্থান গ্রহন করলে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হবে (ভিডিওসহ)

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সোমবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাছিম আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আজিজুর রহমান রোমানের যৌথ পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মহামারি করোনাকালে সারাদেশের মতো সিলেটের প্রাইভেট হসপিটাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোতে কর্মরত চিকিৎসক ও অন্যান্য সদস্যরা জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করে আসছেন। বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোতে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন ও গ্রহনের সময় সীমা ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অথচ বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের ২০১৭/২০১৮ইং সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকাবস্থায় পূনরায় নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে। যা ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারী সকল ফি জমা দেওয়া হয়েছে। ৩ বছর ধরে নবায়নের জন্য অপেক্ষায় আছি আমরা।

সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করে আসলেও মূলত অধিদপ্তরের কালক্ষেপনের কারণে আমরা নবায়ন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছি। দূর্যোগকালীন সময়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করলেও আমাদের উপর নিয়ন্ত্রন বহির্ভুত বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহন করলে চলমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হবার আশংকা প্রকাশ করছি। স্বাস্থ্য বিভাগ লাইসেন্স নবায়নে ট্রেড লাইসেন্স,পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আবশ্যক করেছে, যা এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত সময়ে সংগ্রহ করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।

এ ছাড়া প্রতিটি ছাড়পত্র ও নবায়নের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুন। অপরদিকে ৫০ শয্যার হাসপাতালের ট্রেড লাইসেন্স ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা ও প্রতি বছর নবায়ন ফি ৪০ হাজার টাকা , পাশাপাশি নতুন করে রেজিষ্ট্রেশন ফি এক কালীন ৪০ হাজার টাকা ধার্য করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সংবাদ সম্মেলনে সিলেট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় প্রাণ হারিয়েছেন চিকিৎসকরা। সিলেটে ও চিকিৎসকসহ আমরা হারিয়েছি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও এম এ হকের মতো জননেতাদের।

 

প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়গনষ্টিকসেন্টার গুলোর উপর লাইসেন্স ও নবায়নের উপর বেঁধে দেওয়া সময় সীমা আরো বাড়ানোর পাশাপাশি অতিদ্রুত লাইসেন্স নবায়নসহ সকল কার্যক্রম তড়িৎ প্রদানের জন্য একটি টিম তৈরি এবং প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়গনষ্টিকসেন্টার গুলোতে অভিযানের নামে হয়রানী বন্ধে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডা. আব্দুল মুমিন।