• ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বানিয়াচংয় থানার কাগাপাশা গ্রামে দু-পক্ষের সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
বানিয়াচংয় থানার কাগাপাশা গ্রামে দু-পক্ষের সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বিগত ৭ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের দু-পক্ষের সংঘর্ষে আহত আল আমিন হক অবশেষে মারা গেলেন। ৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে তিনি পাড়ি দিলেন পরপারে। গতকাল সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতুবরণ করেন। আল আমিন হক কাগাপাশা গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন হক এর ছেলে। আল আমিন হকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারো রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। বানিয়াচং থানা পুলিশ সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অবস্থান করছে । এদিকে আল আমিন হকের মৃত্যুর ঘটনায় সামছুল হক বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় অধীর সরকারকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। মামলার আসামীরা হলেন, কাগাপাশা গ্রামের অধীর সরকার (৫৫) ও তার ছেলে জীবন সরকার (২১), একই গ্রামের দীপক জৌতি পালের ছেলে দেবাশিষ পাল (৩৫), নিত্যনন্দ দাশের ছেলে অরুণ দাশ (২৮), বিজয় মালাকারের ছেলে অঞ্জন মালাকার (৩৫), রাজেন্দ্র দেবের ছেলে নিশি দেব (২৫), বিকাশ দত্তের ছেলে শংকর দত্ত (৪১), ক্ষিতিন্দ্র নাথের ছেলে রাহুল নাথ (২৭), অমর নাথ (২৫) ও নিশু নাথ (২৩)। মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কাগাপাশা গ্রামে নির্মাণাধীন মসজিদের দান বাক্স ও সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলাসহ নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট করার জেরে গত পরশু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে মুসলমান সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে অনেকে আহত হন। আহতদের মধ্যে ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী হাপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিন হক মারা যান। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এলাকার মুরব্বী সামছুল হকের সাথে অধীর সরকারের পূর্ব থেকে স্থানীয় কাগাপাশা বাজারের অর্পন ফার্মেসীর ভুমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সেই সুত্র ধরে জীবন সরকার ও নিশি দেব তারা তাদের বন্ধুবান্ধব দের সাথে নিয়ে বুধবার রাতের আধারে মসজিদের সাইনবোর্ড এবং দানবাক্স ভাংচুর করে। এতে স্থানীয় মুসলিম জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে বিগত ৭ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কালী মন্দির ভাংচুর সহ বাড়ী ঘর লুটপাট করেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
উক্ত ঘটনার পর পর হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘর পুরুষ শুন্য হয়ে যায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।