• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিএনপি বিলুপ্ত হয়ে যাবে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত জানুয়ারি ৫, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে বিরল প্রজাতির প্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে আসতেই হবে। আর নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের জন্য হবে দ্বিতীয় আত্মহত্যা। তাদের পরিণতি মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ হবে।’
তিনি আরো বলেন, সময় ও স্রোতের মত আগামী জাতীয় নির্বাচনও কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। এই নির্বাচন মিস করলে বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও মিস হয়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, একেএম এনামুল হক শামীম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
সংগঠনের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার ও উপ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজ হোসেন।
দেশে গণতন্ত্রের কোন সংকট নেই উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে সংসদীয় গণতন্ত্রের বিশ্বের শীর্ষ দুটি প্রতিষ্ঠান ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী এসোসিয়েশন (সিপিএ) এর সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতো না।
তিনি বলেন, বিশ্বের এ শীর্ষ সংস্থা দু’টির সম্মেলনই শুধু এ দেশে অনুষ্ঠিত হয় নি, বর্তমান সংসদের দু’জন সংসদ সদস্য তাঁদের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রতিনিধিরা দেশের গণতন্ত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আইপিইউ ও সিপিএ’র সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, দেশে গণতন্ত্রের কোন সংকট নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু জোড়া-তালী দিয়ে বানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া এ সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত না করার কথা বলেছেন। কিন্তু এত বড় সেতু স্প্যানের সাথে স্প্যানের সংযোগ ছাড়া তো নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তারপরও ফেরির মাধ্যমে তাকে পারাপারের ব্যবস্থা করা যাবে।
তিনি বলেন, কিন্তু দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিভাবে বলেন, সরকার যে সাবমেরিন দুটি কিনেছে সেগুলো উদ্ধোধনের পরপরই ডুবে গেছে। সাবমেরিন তো পানির নিচেই থাকে। তাহলে তিনি কিভাবে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলেন, তা দেশের মানুষ জানতে চায়।
এদিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর বনানীর পূজা মাঠে অপর একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন, মোহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জনসভা সফল করতে দুপুর থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অধীন বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাধ্যযন্ত্র বাজিয়ে ও বিভিন্ন ফেস্টুন-ব্যানার নিয়ে জনসভায় যোগদান করে।
জনসভায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও আলাদা আলাদা ব্যানার নিয়ে জনসভায় যোগদান করেন। সভা শুরু হওয়ার আগেই জনসভা দু’টি বিশাল মহাসমাবেশের রূপ নেয়। ৫ জানুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)