• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মন্ত্রণালয়ে যোগদান

প্রকাশিত জানুয়ারি ৭, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নব নিযুক্ত মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আজ রোববার সকালে মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছেন।
এরআগে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। গত ৩রা জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর তার ওপর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অর্পিত হয়।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ, মাতা সাজেদা বেগম চৌধুরী।
তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইসলামাবাদ কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসসি করেন।
আনিসুল ইনলাম মাহমুদ ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন-২৮২ (চট্টগ্রাম-৫) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
এছাড়াও তিনি ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাহমুদ ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে জনাব মাহমুদ পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ১৯৮৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এই সময়কালে তিনি স্বল্পকালের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি ছিলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। ফটোগ্রাফি, ক্রিকেট এবং ফ্লায়িং তাঁর শখ। ৭ জানুয়ারি,২০১৮ (বাসস)