• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বর্তমানে দেশে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে : শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত মার্চ ১, ২০১৮
বর্তমানে দেশে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে : শিল্পমন্ত্রী

সিলেট সুরমা ডেস্ক : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশে এক সময় দিনে আঠার ঘণ্টা লোড শেডিং থাকলেও এখন তা প্রায় শূন্যের কোঠায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। কুইক রেন্টালের সূচনাকালে কেউ কেউ সমালোচনা করলেও এ উদ্যোগের ফলে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ে ওঠেছে।আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘৯ম আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ইনফ্রাসট্রাকচার ইনোভেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এক্সপো এন্ড ডায়ালগ-২০১৮’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (¯্রডো), পাওয়ার সেল এবং বেসরকারি আয়োজক সংস্থা এক্সপোনেট এক্সিবিশন (প্রাঃ) লিমিটেড যৌথভাবে এ প্রদর্শনী ও সংলাপের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ.খান, এক্সপোনেট এক্সিবিশন (প্রাঃ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাশেদুল হক বক্তব্য রাখেন।শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়ন আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। জিরো পল্যুশন ও জিরো এক্সিডেন্ট নীতির ভিত্তিতে সরকার শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। শিল্পকারখানার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক আন্দোলন হলেও এর উপযোগিতা থাকায় সাফল্যের সাথে এ প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ, জীব বৈচিত্র ও জননিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নির্দেশনায় শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের শিল্পখাত এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি এদেশের ওষুধ, পাদুকা, সিরামিক, প্লাস্টিক, জাহাজ নির্মাণসহ উদীয়মান শিল্পখাতগুলো বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ বিশ্বের ১শ’ ৫১টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। পাদুকা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম স্থান দখল করে আছে। বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজ ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং ভারত ও পাকিস্তানে রপ্তানি হচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়ন কৌশল সম্পর্কে জানতে কৌতুহলী বলে তিনি উল্লেখ করেন।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কুইকরেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ উদ্যোগ সামগ্রিক অর্থনীতিতে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে। বর্তমানে জিডিপিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিদ্যুতখাতের অবদান ২২ ভাগ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সবুজ পণ্য উৎপাদনের প্রয়াস জোরদার করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ ও জ্বালানি প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে বিশ্বের ৭টি দেশের ৬২টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা বিভিন্ন স্টলে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ উপকরণ, যন্ত্রপাতি, জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিদিন কারিগরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ দেশ-বিদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও নির্মাণ শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনা প্রবেশ মূল্যে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ১ মার্চ, ২০১৮ (বাসস)