• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ওসমানীনগরে ওয়াজ মাহফিলে সংঘর্ষ : নিহত ১ : আহত ৩৫ : থানায় মামলা দায়ের

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৫, ২০১৫

ওসমানীনগর প্রতিনিধি :
সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের তেরহাতি গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংষর্ষে ১ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩০ থেকে ৩৫ জন। গতকাল বিকেলে তেরহাতি জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আফতাব মিয়া(৩৫)। তিনি তেরহাতি গ্রামের মৃত রাজমত মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, একই গ্রামের মদরিছ আলী, মাসুক মিয়া, আফছর মিয়া, কামাল পাশা, উজির আলী, ফিরোজ মিয়া, রুবেল খান, বাবর আলী, মনছুর আলী মাছুম, তালহা আহমদ,ইব্রাহিম খলিল, মুরশেদ আলম, জয়নাল আবেদিন, রনি মিয়া, ইউসুফ জামিল, শের উল্লাহ,মেহেদি হাসান সাজাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগন। আফতাব মিয়া নিহতের ঘটনায় তার বড় ভাই জামায়াত নেতা আনকার মিয়া বাদী হয়ে গ্রামের প্রায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ওসমানীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৪, তারিখ ১১/১০/২০১৫ইং। মামলার আসামীরা হলেন, তেরহাতি গ্রামের বাসিন্দা ১/মাসুক মিয়া, ২/কাঞ্চন কান্তি দেব,৩/ মনছুর আলী মাছুম, ৪/তালহা আহমদ,৫/নয়ন দেব, ৬/মুরশেদ আলম, ৭/জয়নাল আবেদিন, ৮/লেবু মিয়া, ৯/ইউসুফ জামিল,১০/অন্তর দেব সাগর ,১১/মেহেদি হাসান,১২/ইউনুস মিয়া,১৩/ মনজুর রহমান,১৪/রবিউল ইসলাম, ১৫/খালেক আহমদ,১৬/অনিক পাল, ১৭/আহমেদ শমসের গং। মামলার বাদী মাওলানা আনকার মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের জানানা , তেরহাতি জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে অনেক আগে থেকে বিরোধ চলছিলো, এ বিরোধের পেছনে গ্রামের মহেন্দ্র দেব বাবুলের পরিবার উস্কানি দিয়ে আসছিলো। এই পরিবারটি বরাবরই মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে থাকে। বাবুলের ছেলে কানাই লাল দেব অশ্র মামলায় কারাগারে থাকলেও তার ছোট ভাই কাঞ্চন কান্তি দেব সংঘর্ষের সময় মামলার ১ নং আসামী মাসুক মিয়ার সাথে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ভাইকে আঘাত করেছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হত্যার পেছনে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া বাবুলের ছেলে কাঞ্চন কান্তি দেব উগ্র মতবাদে বিশ্বাসী, তার বিরুদ্ধে গত ৩১ শে জুলাই ২০১৫ ইং তারিখে ধর্ম অবমাননার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান মাওলানা আনকার মিয়া।