• ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে স্বামী হত্যার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও খুনিরা অধরা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মার্চ ১, ২০২২
স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে স্বামী হত্যার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও খুনিরা অধরা

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার এলাকায় পরকীয়ার জেরে নববধূর প্রেমিকের হাতে স্বামী খুনের ঘটনার পর ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও খুনিরা রয়েছেন অধরা। ইতোমধ্যে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। কিন্তু তারা ধরা পড়েননি পুলিশের জালে।
জানা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার গ্রামের মৃত ইয়াকুব চৌধুরীর ছেলে ও ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন জামায়াতের ইসলামের সভাপতি ইউসুফ চৌধুরী ২০২১ সালের ১০ আগস্ট একই উপজেলার লস্করপুর গ্রামের হাসিম মিয়ার মেয়ে নাঈমা আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের আগে নাঈমার সঙ্গে কুলাউড়া পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের মাগুরা গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে শাহারিয়ার সাকিবের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।  অপরদিকে প্রেমিকাকে বিয়ে করায় ইউসুফ চৌধুরীর প্রতি বেশ ক্ষিপ্ত ছিলেন শাহারিয়ার সাকিব। এরই ধারাবাহিকতায় প্রেমিকার স্বামীকে খুন করার পরিকল্পনা করেন তিনি। তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন উপজেলার জয়চণ্ডী গ্রামের আহসান হাবিবের ছেলে তায়েফ চৌধুরী ও রংগিরকুল গ্রামের আরাব আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনের সিমে ক্রয়ে সাকিবকে সহযোগিহতা করেন জয়চণ্ডীর বিজয়া গ্রামের রিয়াজ মিয়ার ছেলে শেফুল আহমদ।
পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক চলতি বছরের ৮ এপ্রিল সন্ধ্যারাতে ইউসুফ চৌধুরীকে ফোনে ডেকে নেন শাহারিয়ার সাকিব ও তার সহযোগিরা। পরে রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ইউসুফের মাথার পেছনে ভারী কোনো বস্তুু দিয়ে আঘাতের মাধ্যমে খুন করে স্থানীয় ফানাইগাঙ্গে লাশ ফেলে দিয়ে চলে যান খুনিরা।
লাশটি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে ভোররাত ৪টার দিকে থানাপুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ইউসুফ চৌধুরীর ভাই মো. ইদ্রীস চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার চার্জশিট গত ২৫ জুলাই আদালতে দাখিল করেছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াছিন আহমদ।
তিনি বলেন, আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।