• ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

করিমগঞ্জ থেকে চার সন্দেহভাজন বাংলাদেশি যুবককে জঙ্গি সন্দেহে আটক

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ৭, ২০১৫

সিলেট সুরমা ডেস্ক::::: ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ থেকে চার সন্দেহভাজন বাংলাদেশি যুবককে জঙ্গি সন্দেহে আটক করেছে সেখানকার পুলিশ। মঙ্গলবার করিমগঞ্জের নিলাম বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। করিমগঞ্জ পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া খবরটি প্রকাশ করেছে।
অপরদিকে, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ বুধবার তাদের এক প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আটক ৪ জঙ্গির বাড়ি সিলেটে। এদের সাথে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠি আইএসের যোগাযোগ ছিলো। ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার জন্যই ভারত গিয়েছিলো তারা।
প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে ৪ জঙ্গির তথ্য প্রকাশ করা হয়। আটককৃতরা হলো- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সুমন আহমদ, বিল্লাল আহমদ, সাব্বির আহমদ ও কানাইঘাটের শাহিদ আহমদ। করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার পিআর কার জানান, আটক হওয়া সন্দেহভাজন জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গতিবিধি সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছি’।
যুগশঙ্খ’র প্রতিবেদনে লিখেছে, আটককৃতরা ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল। দু’জন ভারতীয় পাসপোর্ট নেওয়ার চেষ্টা করছিল।
খবরে আরো বলা হয়, মঙ্গলবার করিমগঞ্জের পাথারকান্দি থানার বিনোদিনী এলাকায় একটি গাড়ি থেকে কয়েকজন যুবক লাশ ফেলে চম্পট দেয়। সকাল সাড়ে টার সময় এ দৃশ্য দেখে ফেলেন একজন মহিলা। খবর পেয়ে নিলামবাজার থানারওসি আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। তখন করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ রঞ্জন কর প্রথমে গাড়ির সন্ধান করার নির্দেশ দেন। দুপুর ১২টার দিকে নিলামবাজার-কনকপুর সড়কের কাছে একটি পানের দোকানে চোখ যায় পুলিশের। ওই দোকান থেকেই আটক করা হয় চার বাংলাদেশি যুবকসহ পাঁচ জনকে। এরপর তাদের মাথা ও মুখ কাল কাপড়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় করিমগঞ্জ সদর থানায়। সেখানে তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
যুগশঙ্খের খবরে বলা হয়েছে, ধৃতরা ১৪ আগস্ট মেঘালায়ের উমকিয়াং সীমান্ত দিয়ে সেদেশে প্রবেশ করে এবং কালিগঞ্জের জনৈক শাহজাহান তাদের কালাইন থেকে নিয়ে যায়। এই শাহজাহানো তাদের সঙ্গে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। খবরে বলা হয়, যে যুবকটির লাশ ফেলা হয় তার নাম আব্দুল আহাদ। এরা ইউরোপ গমনের জন্য বারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। খবরে বলা হয়, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারনা করছে এরা আইএস জঙ্গি দলে যোগ দিতেই ভারতে পাড়ি দিয়েছে। ভারত থেকে ইউরোপ হয়ে সিরিয়া কিংবা ইরাকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল এদের।