সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তনদী জাদুকাঁটা ও মাহারাম নদীর তীর কেটে এবং নদী দু’টিতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার, সেইভ বোমা মেশিন দিয়ে বালি-পাথর উক্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের আহবানে দক, শ্রমিকদের অংশগ্রহনে সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন বিগত এক যুগেরও বেশী সময় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় মাহারাম ও জাদুকাঁটা নদীর তীরে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মো: রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলার আ’লীগ-বিএনপির নেতৃবৃন্ধ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী , সাংবাি সময় বালি পাথর খেঁকো একাধিক চক্র সিন্ডিক্যাট তৈরী করে জাদুকাঁটা নদী, বড়টেক এলাকা, মাহারাম নদীতে নিজেদের মালিকানা দাবি করেন অবৈধ ড্রেজার, সেইভ ও বোমা মেশিন দ্বারা প্রতিদিন কোটি টাকার বালি পাথর লুট করে বালি পাথর বিক্রি ও চাঁদাবাজির টাকায় কোটি পতি বনে গেছেন। ঐ চক্রটির কারনে নদীতে প্রায় ২০ হাজার সাধারন শ্রমিক বেলচা. বালতি ও হাতের দ্বারা বালি পাথর উক্তোলিন করতে গিয়ে অসংখ্যবার হামলার শিকার হয়েছেন। বক্তারা আরো বলেন অপরিকল্পিত ভাবে কিছু সংখ্যক চাঁদাবাজ চক্রের কারনে উভয় নদীর আকার বড় হয়ে ঘেছে , নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম , রাস্তাঘাট, স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, ছোট হয়ে গেছে এলাকার আবাদীজমী, আদর্শগ্রাম ও বড়টেক এলাকা। এসব কারনে পাহাড়ি ঢল ও আগাম বন্যায় উপজেলার ২৩টি বোরো ফসলী হাওরের ধান বিগত দিনে তুিলয়ে গিয়ে ১০০০ কোটি টাকার ফসলহাইন ঘটেছে নি:স্ব হয়েছে উপজেলার ছোট বড় অর্ধলক্ষাধিক কৃষক পরিবার। বক্তারা নদীর সীমানা চিহ্নিত করণ, নদীতে অবৈধ সেইভ. ড্রেজার , বোমা মেশিন সহ সব ধরণের যান্ত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে বালিপাথর উক্তোলন বন্ধে ও চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। সমাবেশে প্রায় দু,সহ¯্রাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রশাসন. থানা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা আশ্বস্থ করেছেন আজ বুধবার থেকে দু’ নদীতে কোন প্রকার তীর কাটা, বোমা, সেইভ, ও ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালি পাথর উক্তোলন বন্ধে ও জমির মালিকানা দাবি করে যারাই চাঁদাবাজি করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমনকি সাধারণ শ্রমিকরা নদীর তীর না কেঁটে সীমানা চিহ্নিত করে দেয়ার পর বেলচা ও বালতি দ্বারা পুর্বের ন্যায় হাতে বালি -পাথর উক্তোলন করতে পারবেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, থানার ওসি মো: শহীদুল্লাহ, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাহ্ব আবুল হোসেন খাঁ, বড়দল উওর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম, বড়দল দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজাহার আলী, শ্রীপুর উওর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরুল আলম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হাজি মোশারফ হোসেন, পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটির উপ-পরিচালক হাবিব সরোয়ার আজাদ,আ’লীগ নেতা সুজাত মিয়া, মজিবুর রহমান, প্রমুখ।
তৎপর চাঁদাবাজ চক্র: মাহারাম ও জাদুকাঁটা নদীর তীর কেটে নদীর চরে নিজেদের জমির মালিকানা দাবি কওে আসা বালি-পাথর খেঁকো যে চক্রটি দ্বীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার, সেইভ , বোমা মেশিন ও কোয়ারী তৈরীর নামে নদীর ভেতর পুকুর, খাল খনন, মৃত্যুকূপ তৈরী করে কোটিপতি বনে গেছেন সেই চক্রের কয়েক সদস্য সমাবেশে শ্রমিক স্বার্থের অজুহাত তুলে পুরনো কায়দায় ফের বালি পাথর লুটের জন্য বক্তব্য দিতে গেলে তারা গণরোশের শিকারের আংশকায় বক্তব্য প্রদানে বিরত থাকতে বাধ্য হয়।