• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটের ৭টিসহ ২১৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৬, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক :::: সিলেট অঞ্চলের ৭টিসহ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শতভাগ ফেল এবং একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি না হওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের লাগাম টেনে ধরতে এখন থেকে যত্রতত্র খেয়াল খুশিমতো যে কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন না করার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতির পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অনুমোদন বাতিল এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ২০১৬ সালে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও বন্ধ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে মাউশি ও সংশ্লিট শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এমনকি যেসব এলাকায় প্রাপ্যতার বাইরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানেও নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমোদন দেবে না মন্ত্রণালয়। তবে অনগ্রসর, দুর্গম এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ১৮৪ কলেজে গত দুই বছর একাদশ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। আর এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ২০টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৯৫টি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি এবং ৩টি কলেজের একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি। যশোর বোর্ডে ৫টি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি এবং ১টি কলেজে শিক্ষার্থী পাস করেনি। রাজশাহী বোর্ডে ৪২টি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি এবং ৮টি কলেজের শিক্ষার্থী পাস করেনি। চট্টগ্রাম বোর্ডে ৪টি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। সিলেট এবং বরিশাল বোর্ডে ৭টি করে মোট ১৪টি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।
দিনাজপুর বোর্ডে ২৪টি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি এবং ৮টি কলেজ শিক্ষার্থী পাস করেনি। এছাড়া মাদরাসা বোর্ডে ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি এবং ১০টি মাদরাসা কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। তবে দুই ক্যাটাগরিতে কারিগরি বোর্ডের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। গত দুই বছর ধরে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় ১৯৪টি প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনোটির রয়েছে একাডেমিক স্বীকৃতি, কোনোটির পাঠদানের স্বীকৃতি আবার কোনোটি এমপিওভুক্ত।