• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গণতান্ত্রিক মুল্যবোধে একাত্ম হয়ে পুলিশ সেবাকে আরো জনবান্ধব করার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৩, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক ::: শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে কমিউনিটি পুলিশিংকে আরো জোরদার করার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গণতান্ত্রিক মুল্যবোধে একাত্ম হয়ে পুলিশ সেবাকে আরো জনবান্ধব করার আহবান জানিয়েছেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঔপনিবেশিক আমলের ধ্যান-ধারণার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে একাত্ম হয়ে পুলিশের সেবাকে আরো জনবান্ধব করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে অসহায় ও বিপন্ন মানুষের প্রতি অকুণ্ঠচিত্তে সেবার হাত প্রসারিত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার ভাষণের উদ্বৃতি তুলে ধরে বলেন,‘আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ভাষণে যেকথা বলেছিলেন-আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের পুলিশবাহিনী স্বাধীন দেশের পুলিশবাহিনী। আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে দায়িত্ববোধ থাকতে হবে জনসেবা করার মানসিকতা নিয়ে। ’
শান্তিময় ও নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে সরকার আরো জোরদার করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে বহুমূখী পদেক্ষপ নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল এবং আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু দেশী-বিদেশী একটি চক্র বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রাকে বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। গণতান্ত্রিক পথে মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়ে এরা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, কোমলমতি যুবক-কিশোরদের ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সহিংস আক্রমণের মাধ্যমে মানুষ হত্যার মত বর্বরোচিত কর্মকান্ডে প্ররোচিত করছে।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং আমাদের উন্নয়নের প্রধান বাধা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি হলি আর্টিজান এবং শোলাকিয়া জঙ্গি হামলা মোকাবেলায় ৪ জন পুলিশ সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন। নির্ভীক এই ৪ পুলিশ সদস্যের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অসংখ্য প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় পুলিশের সাফল্য প্রসংগে আরো বলেন, সম্প্রতি আশুলিয়ার আশকোনা এবং মিরপুরের কল্যাণপুর পুলিশ জঙ্গী বিরোধী বিশেষ অভিযান সফলভাবে পরিচালনা করেছে। পুলিশ জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড, অস্ত্রদাতা, প্রশিক্ষক এবং আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করে বলেন, ‘শুধু দেশেই নয়, গত প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় প্রদান করে বহির্বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি একেএম শহীদুল হক এবং প্যারেড কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি মো.মোখলেসুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৭’ উপলক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্যারেড কমান্ডার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারকে সঙ্গে করে একটি খোলা জিপে করে প্যারেড পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের মাঝে ৪টি ক্যাটাগরিতে ১৩২ জন পুলিশ সদস্যের মাঝে বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক বিতরণ করেন।
২০১৬ সালের মরনোত্তর পুলিশ পদক বিপিএম পান গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ সদস্য শহীদ রবিউল ইসলাম সিনিয়র এসি ডিবি ডিএমপিএবং শহীদ মো.সালাউদ্দিন খান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুলশান থানা। উভয়ের স্ত্রী এই মরনোত্তর পদক গ্রহণ করেন।
একই সঙ্গে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে নিহত পুলিশ কনস্টেবল শহীদ জহীরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ’র পক্ষে তাঁর স্ত্রী এবং পুলিশ কনষ্টেবল শহীদ আনসারুল হক কিশোরগঞ্জ’র পক্ষে তাঁর মা মরনোত্তর পুলিশ পদক গ্রহণ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সিআইডি’র ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও একাত্তরের বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত ‘রাজারবাগ-৭১’ নামের আবক্ষ মূর্তির নামফলক উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সপ্তাহ ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি কেক কাটেন।
মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তরের মেয়রসহ সামরিক ও বেসামরিক পর্যায়ের উধর্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদেশী কূটনিতিক, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ এবং বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থকে আমরা ব্যয় নয়, বিনিয়োগ মনে করি। আমাদের সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রমের বিস্তৃতি দেশের প্রধান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাংলাদেশ পুলিশেও সমভাবে বিস্তৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের প্রেক্ষিতে পুলিশের কর্মক্ষেত্র ও কর্মব্যাপ্তি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেবল চুরি-ডাকাতি, হত্যা-রাহাজানি বন্ধ নয়, পুলিশের কাজের ক্ষেত্র আজ বিস্তৃত হয়েছে-সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিং, মাদক পাচার এবং পণ্য চোরাচালান ও নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধে, এমনকি জলজ ও বনজ সম্পদ এবং পরিবেশ সংরক্ষণেও।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যগণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। বৈশ্বিক পরিম-লে আমাদের পুলিশ সদস্যদের অর্জিত অভিজ্ঞতা দেশের আইন-শৃংখলাসহ গণতন্ত্রের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে নিরাপত্তা ও অপরাধের নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশের আধুনিকায়নের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুলিশের কৌশলগত পরিকল্পনা, অবকাঠামো এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করে কর্মক্ষেত্রে পুলিশের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে ।
পুলিশের উন্নয়নে গৃহীত সরকারে বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রসংগ তুলে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারই ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৭৩৯ টি ক্যাডারপদসহ ৩২ হাজার ৩১ টি পদ সৃজন করে।
দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশ পুলিশে আরো ৫০ হাজার জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪১ হাজার পদ সৃজন করা হয়েছে।
বর্ধিত জনবলের সাথে প্রয়োজনীয় যানবাহন ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি সরবরাহের বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কাউন্টার টেরোরিজম ইফনিট গঠন প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করা হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠনের ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া আরো বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট যেমন-পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং ২টি স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো সুসংহত ও জোরদারের করতে তাঁর সরকার বিশেষায়িত ব্যাটালিয়ন গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ।
পুলিশ বাহিনীর এসআই/সার্জেন্ট পদকে ৩য় থেকে ২য় শ্রেনীতে এবং ইন্সপেক্টর পদকে ২য় থেকে ২ম শ্রেনীতে উন্নীত করার প্রসংগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক প্রদত্ত আইজিপি’র র‌্যাংক ব্যাজ পুনঃ প্রবর্তনপূর্বক আইজিপি’র পদকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় উন্নীতকরণ এবং পুলিশ বিভাগের ২টি গ্রেড-২ পদকে গ্রেড-১ পদে উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারসহ সারাদেশে ৩০টি ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে সিআইডিতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার এবং সাইবার ক্রাইম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
পুলিশ সদস্যদের জন্য ঝুঁকি ভাতা প্রবর্তন, পুলিশের আবাসন, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধিসহ পুলিশের জনসেবা বুদ্ধির জন্য সরকারের চালু করা ‘বিডি পুলিশ হেল্প লাইন’ নামক অ্যাপ চালুর প্রসংগও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার পথ অনুসরন করে আমরা বাংলাদেশ পুলিশে নারীদের নিয়োগ দিচ্ছি। প্রথমবারের মত ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে নারীদের নিয়োগ প্রদান করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুলিশে সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে নারীদের নিয়োগ প্রদান করেন,বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এত বিপুল সংখ্যক পদক আর কখনও প্রদান করা হয়নি। এ পদক আপনাদের কাজের স্বীকৃতির পাশাপাশি আপনাদেরকে ভবিষ্যতেও আরো পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে । পাশাপাশি আপনারা সততা,নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্রতী হবেন।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন,‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা অব্যাহত থাকলে আমরা অচিরেই জাতির জনকের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের দারিদ্রের হার ২২ শতাংশে কমিয়ে আনা, ১২৩ ভাগ বেতন বৃদ্ধি, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জজন্য বৃত্তি, উপবৃত্তি প্রদানসহ তাঁর সরকারের সময়ে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমরা জিনিষপত্রের দাম কমিয়ে তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এশটি স্বাধীন দেশ। আমরা কারো কাছে হাত পেতে নয়, ভিক্ষা করে নয়- নিজেদেরকে আত্মনির্ভরশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
এই দেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের তালিকায় স্থান পাবে-ইনশাল্লাহ। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ হবে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ। সেই লক্ষ্য অর্জনেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’