• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

উপশহর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ : অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার :
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। শফিক মিয়া নামে এক পিকআপ ভ্যানের চালককে মারধরের জেরে শ্রমিকদের ব্যারিকেড ও ভাঙচুরে পুলিশ বাধা দিলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
শুক্রবার (১৭  ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে নগরীর উপশহর এলাকায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহম্মদ।
তিনি জানান, উপশহর পয়েন্টে একজন শ্রমিককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ওই এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে কয়েকজন আহত হন।
প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে শনিবার সকাল ৬টা থেকে সিলেট জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক নেতারা। ডিবি পুলিশের হাতে আটক তিন শ্রমিকের মুক্তির দাবিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সিলেট জেলা মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি শাহ রিপন আহমদ জানান, শুক্রবার রাতে আমাদের তিন শ্রমিককে ডিবি পুলিশ আটক করে । পরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলে পুলিশ আমাদের মারধর করে আহত করে। এসময় একটি পিকআপ ভ্যানও নিয়ে যায়। আমরা আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রাত পৌনে এগারটা থেকে আবারও সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে অবস্থানের ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এর আগে রাত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সিলেট ল কলেজের সামনে পুলিশের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে অনন্ত সাতজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মুশাহিদ আলী নামের ট্রাকশ্রমিককে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ল কলেজের সামন থেকে শফিক ও স্বপন নামের দুজন মাইক্রোবাস শ্রমিককে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এর জেরে রাতে উপশহর পয়েন্ট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে পরিবহন শ্রমিকরা। তখন পুলিশ সদস্যরা সেখানে এসে অবরোধ তুলে নেয়ার কথা বললেও তারা পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাটিচার্জ এবং কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় অন্তত সাতজন আহত হন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রোকন উদ্দিন। তারা শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। রাত সাড়ে দশটায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের বৈঠক চলছিল।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাৎক্ষণিক কোন কথা বলতে রাজি হননি।