• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আলোচিত খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার রায় কাল

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মার্চ ৭, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার
দেশব্যাপি বহুল আলোচিত সিলেটের কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার রায় কাল বুধবার ঘোষণা করা হবে। এ রায় ঘোষণা করবেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর হোসেন মৃধা।  এর আগে বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার পক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। তাছাড়াও এ মামলায় ৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বদরুল। ৮ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে একমাত্র বদরুল আলমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন খাদিজা। এর মাধ্যমে মামলার ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয় এবং আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে কাল বুধবার ৮ মার্চ রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা।
এদিকে, এই রায় সম্পূর্ণ বাংলায় লেখা হবে। রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের পর গত রোববার দুপুরে এমনটি জানিয়েছেন সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। কাল সকাল সাড়ে ১১টায় খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষনা করা হবে।
জানা যায়, গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের স্নাতক শ্র্রেণীর ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস। খাদিজাকে কুপানোর দায়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতা ও এমসি কলেজ শিক্ষার্থীরা শাহজালাল বিশ্ববদ্যিালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। বদরুলের চাপাতির আঘাতে খাদিজার মাথার খুলি ভেদ করে মস্তিষ্কও জখম হয়। খাদিজাকে কুপানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। হামলার পর প্রথমে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় খাদিজাকে। সেখানে ৪ অক্টোবর বিকালে অস্ত্রোপচার করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় খাদিজাকে। পরে ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলার পর ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়া তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর শরীরের বাঁ পাশ স্বাভাবিক সাড়া না দেওয়ায় চিকিৎসার জন্য স্কয়ার থেকে সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয়। সিআরপিতে ৩ মাসের চিকিৎসা শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফেরেন কলেজ ছাত্রী খাদিজা।
ঘটনার পরদিন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে দন্ডবিধির ৩০৭, ৩২৪ ও ৩২৬ ধারায় শাহপরান থানায় বদরুলকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেন। ওইদিনই বদরুলকে বহিস্কার করে শাবি প্রশাসন। বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে ও খাদিজা সিলেট সদর উপজেলার আউশা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে।