• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

গোলাপগঞ্জে অস্ত্র সহ আটক তিন : অপরাধে জড়িত থাকার দায় স্বীকার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মার্চ ১৬, ২০১৭

গোলাপগঞ্জ  সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে শীর্ষ তালিকাভূক্ত তিন ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতি, ছিনতাইসহ শীর্ষ অপরাধের তালিকায় যুক্ত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। শুধু তাই নয় এসব অস্ত্রধারী ডাকাতরা কৌশলে বাসা বাড়ীতে খাবারে অচেতনমূলক পাউডার মিশিয়ে মানুষকে সর্বশান্ত করে আসছিল। এসব ঘটনায় বিগত দু’মাসে দুই জনের প্রাণহানি ঘটে। ডাকাত আতঙ্কে ছিল গোটা উপজেলাবাসী। তাদের ধরাশায়ী কৌশলের কাছে বিপাকে ছিল আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী। সময়-সময় এসব অপরাধীরা কৌশল পাল্টে অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার বিকেলে গোলাপগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে তাদের ২টি রিভলবারসহ আটক করা হয়। আটকের সময় পিস্তল উঁচিয়ে পুলিশকে হুঙ্কার দেয় বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়। আটকের পর তাদের কাছ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ভর্তি দেশীয় রিভলবার ও ৬ রাউন্ড কার্তুজসহ আরো একটি দেশীয় এল.জি ও ছোট পলিথিনে মধ্যে চেতনানাশক পাউডার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতর ডাকাতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করে। ঐ দিন বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকাদক্ষিণ দিক থেকে একটি প্রাইভেট কার ও পিছনে পিছনে একটি সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ী আসতে দেখে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারকে সিগন্যাল দিলে থামায়। তখন গাড়ীর পেছনের তিনজনকে আটক করে পুলিশ এবং তাদের শরির তল্লাশি করে স্থানীয়দের সামনে দুটি’অগ্নে অস্ত্র ও চেতনানাশক পাউডার উদ্ধার করে। আটককৃত ডাকাতদের নিয়ে গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং করে পুলিশ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুজ্ঞান চাকমা, ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তির স্মারক সূত্রে জানা যায়, জসিম উদ্দিনের প্যান্টের কোমড়ে ৫ রাউন্ড গুলি ভর্তি দেশীয় রিভলবার, আসামী আজিম উদ্দিনের পরিহিত প্যান্টের সাথে কোমড়ে একটি দেশীয় এল.জি ও সরফ উদ্দিনের পকেটে ৬ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি ছোট সাদা পলিথিনের মধ্যে চেতনানাশক পাউডার পাওয়া যায়। উল্লেখ্য গত ২৮ ফেব্র“য়ারী গোলাপগঞ্জে দুর্বৃত্তের দেয়া বিষ মেশানো খাদ্য খেয়ে মুশফিকুর রহমান লুকুছ (৬০) নামে এক গৃহকর্তার মৃত্যু ও বাসার সর্বস্ব লুট হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫০), রেক্সুনা (২২), ভাগ্নি রাছা বেগম (১৮) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিহত লুকুছ গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ফুলবাড়ী পূর্বপাড়া কলাভাগ এলাকার মৃত সোনাহর আলীর পুত্র। গ্রামের বাড়ী উপজেলার রানাপিং কালীদাসপাড়া। তিনি স্বপ্নীল মাতৃছায়া বাসার মালিক। গত ১৩ ফেব্র“য়ারী সোমবার গোলাপগঞ্জ পৌরসভার দাঁড়ীপাতন উলুনি গ্রামে একই কায়দায় খাদ্য বিষক্রিয়ার মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা সর্বস্ব লুটে নেয় এবং সিলেট ওসমানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় আহত ৩জনের ৪/৫ দিন পর জ্ঞান ফেরে। নিহতদের গ্রামের বাড়ী বিয়ানীবাজার উপজেলায়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার বাদেপাশা ইউপির আমকোনা গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর পুত্র আজিম উদ্দিন (৩০), একই ইউপির নোয়াইরঘাট গ্রামের মৃত মতছির আলীর পুত্র সরফ উদ্দিন (৪০) ও একই উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউপির ধারাবহর গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন (৪০)।