• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উদযাপন উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত এপ্রিল ১২, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৪’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কমসূচি গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য তুলে ধরে এ দিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও সকল উপজেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ আলোচনা সভা ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন।
ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটসমূহ, বিসিক ও ছায়ানট নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউ-েশন এবং বাংলা একাডেমি ও বিসিক ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার আয়োজন করবে।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ও কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে এবং কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউ-েশন এবং প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় জাদুঘর ও প্রতœস্থানসমূহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে (শিশু-কিশোর, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকেটে)।
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হবে, বিশেষ করে ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উদ্যাপন করবে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজনসহ ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উদ্যাপন করবে ও বহিবিশ্বে প্রচার করবে। অভিজাত হোটেল ও ক্লাব বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করবে।
সকল সরকারি, বেসরকারি টিভি ও বেতার বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং স্ব-উদ্যোগে বাংলা নববর্ষের ওপর বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজনসহ ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে প্রচার করবে।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উদযাপনকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।