• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দক্ষিণ সুরমায় স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী পলাতক

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুন ৬, ২০১৭

সংবাদদাতা: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লউয়াই এলাকার নিজ ঘরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেছে এক পাষান্ড স্বামী ।  সোমবার বেলা সোয়া ১টার দিকে নৃশংস হত্যাকন্ডের ঘটনা ঘটে।  নিহত শাহেনা বেগম (২৮) লাউয়াই উম্মর কবুল গ্রামের মৃত মতছির আলীর মেয়ে। এ ঘটনার পর পাষান্ড স্বামী মনির আলী পলাতক রয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তবে কি কারনে শাহেনা’কে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘাতক স্বামী মনির আলী বিশ্বনাথ উপজেলার নাজির বাজার এলাকার রাজাপুর গ্রামের মৃত ওয়ারিছ আলীর ছেলে। গত পাঁচ বছর আগে দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই উম্মর কবুল গ্রামের মৃত মতছির আলীর মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছে।   সে পেশায় কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতো। তাদের ৪ বছরের ফাইজা নামের এক মেয়ে রয়েছে।

সূত্র বলে, পরিবারে স্ত্রী শাহেনা ও তার ছোট বোনদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে স্বামী মনিরের প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো। প্রায় সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘাতক মনির উত্তেজিত হয়ে উচ্চবাক্যে কথা বলতো। হয়তো এমন কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা কান্ড ঘটাতে পারে।    তলে আসল ঘটনা কি তা এখনো জানা যায় নি।

স্বামী-স্ত্রীর ধন্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সোমবার বেলা সোয়া ১টায়। নিহত শাহেনার ভাই ও মা জানান, ঘরের লোকজন বাইরে ছিলেন।    তারাও প্রয়োজনীয় কাজে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে ছিলেম। ঘরে শুধুমাত্র মেয়ে, মেয়ের জামাই ও চার বছরের একমাত্র নাতিন ফাইজা ছিলো।

বাড়িতে আসার পরপরই নাতিন ফাইজা চিৎকার করে বলে ‘নানি বাবা আমার মা’কে জবাই করে হত্যা করেছে।    তখন নিহত শাহেনার মা বাথরুমে গিয়ে দেখতে পান তার মেয়ে শাহেনাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তার আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে থানা পুলিশকে অবগত করেন।

দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতাল মর্গে লাশ প্রেরন করা হয়েছে।  ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।  ঘাতক মনিরকে আটকের চেষ্টা চলছে।  তাকে গ্রেফতারের পর হত্যার আসল ঘটনা জানা যাবে।