• ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেট বিভাগে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে গ্রামীণফোনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭

দেশব্যাপী বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের অংশ হিসেবে আজ ১২ সেপ্টেম্বর গ্রামীণফোন সুনামগঞ্জ সদর ও দোয়ারা বাজার এলাকায় বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে। এর আগে গতকাল পর্যন্ত দক্ষিণ সুনামগঞ্জে, মৌলভিবাজার জেলা সদর, কুলাউড়া, রাজানগর ও শ্রীমঙ্গল; সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ওসমানী নগর ও বিয়ানীবাজারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের বিরাট অঞ্চল প্লাবিত হবার প্রেক্ষাপটে গ্রামীণফোন ১০ কোটি টাকা সমমূল্যের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র সহায়তায় গ্রামীণফোন ২৩ আগস্ট থেকে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত দশ জেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের আওতায় ৫৩,০০০ এর বেশি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা ও প্রায় ১২,০০০ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়াও, গ্রামীণফোনের উদ্যোগে বন্যা কবলিত ৫ হাজার ২৫০ পরিবারকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পানি বিশুদ্ধকরণে ইতিমধ্যে পাঁচটি ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে এবং মারাত্মকভাবে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১২ টি মেডিকেল টিম কাজ করা শুরু করেছে।

বন্যার্তদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব তহবিলের পাশাপাশি, এর কর্মীরাও ত্রাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন যা ত্রাণ বিতরণের কাজে গ্রামীণফোনের মূল তহবিলে যোগ করা হয়েছে। এছাড়াও, গ্রামীণফোনের বিভিন্ন এলাকার কর্মীরা ত্রাণ বিতরণে বিডিআরসিএস’এর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে, ত্রাণ বিতরণের প্রচেষ্টা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের সমস্যা কিছুটা হলেও কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোন সিলেটের বন্যা এবং চট্টগ্রামের ঘূর্ণিঝড় মোরা ও ভূমিধসের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।