• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আমরা বিজয়ী জাতি, বীরের জাতি : প্রধানমন্ত্রী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ত্যাগের মহিমায় আমাদের তরুণ প্রজন্মকে গড়ে উঠতে হবে। এক মুহূর্তের জন্যও ভোলা যাবে না- আমরা বিজয়ী জাতি, বীরের জাতি। আমরা মাথা নত করে চলি না, আমরা বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবো। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিজয় পতাকা হাতে চলি অবিরাম’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠান।

শেখ হাসিনা বলেন, নতুন প্রজন্মকে বলবো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, লাখো শহীদের যে ত্যাগ; সেই ত্যাগের মহিমায় নিজেদের গড়ে তুলতে হবে, বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। তোমাদের মধ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী হবে। আগামী দিনে তোমাদের দেশ পরিচালনা করতে হবে। নিজেদের সেভাবে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তোমরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হবে। আমরা বয়োবৃদ্ধ হয়ে গেছি, যোগ্য নতুন প্রজন্মের হাতে দেশ গড়ার দায়িত্ব দিয়ে যেতে চাই। আমরা বিজয়ী জাতি এই কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে, এক মুহূর্তের জন্য ভুলে গেলে চলবে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারাই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা যুদ্ধ করেছিলেন, তাই তাদের লাখো সালাম জানাই। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণও দিয়েছিলেন এই উদ্যানে। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে ও আওয়ামী লীগকে আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। এই ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ যেন যুগ যুগ ধরে এই আনন্দ উৎসব করে যেতে পারে সেটাই চাই। আর যেন কোনো অন্যায়-অবিচার দেশে না হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।’

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশের অভ্যন্তরে যারা গেরিলা যোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি ঘৃণা জানাই, যারা সেদিন ওই হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে আমাদের মা-বোনদের তুলে দিয়েছিল ওই হানাদার বাহিনীর হাতে, দিনের পর দিন যারা পাশবিক অত্যাচারে নির্যাতিত হয়েছিল। আমি ঘৃণা জানাই যারা আল-বদর বাহিনী, রাজাকার বাহিনী, আল-শামস বাহিনী গড়ে তুলে মুক্তিকামী মানুষের উপর গণহত্যা চালিয়েছিল,অগ্নিসংযোগ করেছিল, লুটপাট করেছিল, এদেশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।তারা পরাজিত হয়েছিল, বিজয়ী হয়েছিল বাংলার মানুষ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় একজন মুক্তিযোদ্ধার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।