• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করব : নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যা করা সম্ভব তার সবই করা হবে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি (সুপ্রিমকোর্ট বার) ও এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনাকালে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রতিটি বিচারপ্রার্থী মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা কিছু করা সম্ভব তার সবই করা হবে। সততাই হচ্ছে একজন বিচারকের মূল শক্তি আর জবাবদিহিতার জায়গা হচ্ছে তার বিবেকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শপথ অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করলে বিচারকদের জন্য পৃথক আচরণ বিধির প্রয়োজন নেই।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ। এই তিন অঙ্গের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটা দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়। আর সমন্বয়ের অভাবে ব্যাহত হয় উন্নয়ন। এই তিনটি অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার জন্য আমি সবসময় চেষ্টা করব। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের সকল বিচারপতিদের সংবিধান, আইন ও শপথ অনুযায়ী বিচার কাজ পরিচালনার জন্য আহ্বান জানান।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আইনের শাসন এবং বিচারপ্রার্থী মানুষের কষ্ট লাঘবে বার ও বেঞ্চের মধ্যে সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। বার ও বেঞ্চকে একটি পাখির সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, একটি পাখির দুটি ডানা আছে। যদি একটি ডানা অচল হয়, তা হলে পাখিটি উড়তে পারে না।
এ সময় সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ও আপিলে বিভাগের সব বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন। বিপুলসংখ্যক আইনজীবীর উপস্থিতিতে দেয়া এ সংবর্ধনায় আরও বক্তৃতা করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সকাল সাড়ে ১০টায় আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাস কক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির কর্মদিবসের প্রথম দিনে আজ এ সংবর্ধনা উপলক্ষে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)